আহাম্মদ শিপলু: বরিশালের মুলাদী এলাকায় চাঞ্চল্যকর রুবেল হত্যাকাণ্ডে পলাতক আসামি আরিফ আকনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।র্যাব-১০ এর মিডিয়া অফিসার উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালান হয়। অভিযানে বরিশালের মুলাদী এলাকায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে চাঞ্চল্যকর রুবেল হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত পলাতক আসামি আরিফ আকনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আমিনুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার আসামি ওই হত্যাকাণ্ডে তার সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সে মামলার পর থেকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল। আসামিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
র্যাব জানায়, গত ৩ জানুয়ারি বরিশাল জেলার মুলাদী থানাধীন টুমচর এলাকায় বসবাসকারী রুবেল শাহ তার স্ত্রী, কন্যা ও ছেলেকে নিয়ে তাদের বাড়ীর কাছের জাগরনী বাজারে বাজার করার উদ্দেশ্যে রওনা করে। পরে সকাল ৮ টার দিকে ঘটনাস্থল মুলাদী থানাধীন টুমচর এলাকার একটি পাকা রাস্তার উপর পৌছামাত্র আগে থেকে ওৎপেতে থাকা আরিফ আকনসহ ২৪-৩৫ জন লোক পূবের শত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রুবেলের উপর অতর্কিত আক্রমক করে।
এসময় তারা রুবেলের স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলেকে আটকে রাখে এবং ভিকটিম রুবেলকে ঝাপটে ধরে তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাপাতি ও রাম দা দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে কোপাতে থাকে। একপর্যায় রুবেলের স্ত্রী ও মেয়ের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে আসলে আরিফসহ অন্যান্য আসামীরা রুবেলের স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে রুবেলকে কেউ বাচাতে আসলে বা মামলা মোকাদ্দমা করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদর্শন করে রুবেলকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। পরে রুবেলের স্ত্রী ও সন্তানরা স্থানীয় লোকজনদের সহযোগীতায় রুবেলকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভ্যানেকরে চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী কালকিনি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুবেল মৃত ঘোষনা করেন। এই ঘটনায় ৯ জানুয়ারি মৃত রুবেলের স্ত্রী মোছাঃ নার্গিস বেগম বাদী হয়ে বরিশাল জেলার মুলাদী থানায় চাঞ্চল্যকর রুবেল শাহ্ হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত আরিফ আকনসহ ৩৫ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।