শেষবার্তা ডেস্ক : রাজধানীতে ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক নয়টি মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন জানান, মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে করা ১০টি মামলার জামিন আবেদন গ্রহণ করার জন্য রিট আবেদন করা হয়। এরমধ্যে সোমবার পল্টন থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ হওয়ায় বাকি নয়টি মামলার জামিন আবেদন গ্রহণের আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে নয় মামলার জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির জন্য সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে রুল জারি করেছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। যেহেতু ১০ মামলার জামিন আবেদন গ্রহণ না করার তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে তাই আমরা বিষয়টি হাইকোর্টে আবেদন করি।
আইনজীবী আরও বলেন, এই ১০ মামলা এবং প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগ মামলায় জামিন পেলে বিএনপি মহাসচিব কারামুক্ত হবেন।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে সংশ্লিষ্ট শাখায় মির্জা ফখরুল পক্ষে আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন রিটটি দায়ের করেন।
রিটে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১০টির মামলার মধ্যে পল্টন থানার সাতটি এবং রমনা থানার তিনটি মামলার কথা উল্লেখ রয়েছে। মামলাগুলো ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বিচারাধীন।
আইনজীবীরা জানান, ১২ ডিসেম্বর সিএমএম আদালতে বিচারাধীন ১০টি মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন করা হয়। তবে আদালত জামিন আবেদন গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়েছে।
গত ২৯ অক্টোবর গুলশান-২ এর ৭১ নম্বর সড়কের ১৮ নম্বর বাড়ি থেকে মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এদিন রাতে তাকে ডিবি অফিস থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। সে সময় তাকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর থেকে কারাগারেই রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।