Saturday , July 27 2024
Breaking News

গরম কাপড়ের ব্যবসায় ঠান্ডাভাব, আছে হরতাল-অবরোধের প্রভাব

মো:সোলায়মান: এসময়ে গরম কাপড়ের ব্যবসা গরম চললেও এবার তার বিপরীত। শীতের কাপড়ের বিক্রির বাজার জমে ওঠে নভেম্বর মাসে। তবে এখনও ব্যবসা জমেনি। শীত পড়ার আশায় ব্যবসায়ীরা। মার্কেট, ফুটপাত যেখানেই বলেন ক্রেতা নেই বললেই চলে। একরকম গরম কাপড়ের ব্যবসা ঠান্ডা চলছে বলে জানালেন অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা। এতে তাঁরা আর্থিক ক্ষতিকর সম্মুখীন হবেন বলে আশঙ্কা করছেন।

হরতাল-অবরোধের কারণে রাজধানীতে শীতের গরম পোশাকের ব্যবসা এবার খুব বেশি জমেনি। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের গরম কাপড়ের ব্যবসা মূলত হয় নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে। শীত বাড়েনি বলে, গরম কাপড়ের বিক্রিও বাড়েনি। এছাড়া বিক্রি কম হওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রভাব।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বর ও মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর ও মিরপুর ১৪ নম্বর, মিরপুর ১১ নম্বর,পূরবী এলাকায় বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

শীতের কাপড়ের দরদাম: শীতের গরম কাপড়ের বাজারে বিক্রি হচ্ছে কম্বল, জ্যাকেট-সোয়েটারের, মাফলার ও কানটুপি। এবার বাজারে কম্বল, জ্যাকেট, সোয়েটারের মতো পোশাকের দাম এবার একটু বেশি। মান ও আকারভেদে প্রতিটি জ্যাকেট ও সোয়েটারের দাম ২০০ থেকে ২ হাজার টাকা। একটি দেশি কম্বল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৭৫০ টাকায়। আর বিদেশি কম্বলের দাম ৮০০ টাকা থেকে আট হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও কানটুপি ও মাফলার বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতে। এখানে কানটুপি কিনতে হলে গুনতে হচ্ছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা। মাফলার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে মান ভেদে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।

সরেজমিন দেখা গেছে, মিরপুর-১ নম্বর বাস স্ট্যান্ড সড়কের পাশে, বৈশাখী সুপার মার্কেটের সামনে ও ১০ নম্বর গোল চত্তরে বিক্রি হচ্ছে শীতের গরম কাপড়। তবে সেখানে নেই ক্রেতাদের ভিড়। এখানে বিক্রি হচ্ছে শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষের শীতের কাপড়। মিলছে চাহিদা ও সামর্থক অনুযায়ী সব ধরনেরই গরম কাপড়।

মিরপুর-১০ নম্বর বাস স্ট্যান্ডে ফুটওভার ব্রিজের সামনে শীতের কাপড় বিক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য বছর এ সময়ে শীতের গরম কাপড়ের বিক্রি জমে যেত। কিন্তু এবার ব্যবসা করতে পারেনি এখানকার ব্যবসায়ীরা। তাই শীতকেন্দ্রিক সবার ভালো ব্যবসার আশা ছিল। উদ্দেশ্য ছিল লাভ কম হলেও বিক্রি যেন ভালো হয়। শীতের সিজনে প্রতিদিন বিক্রি করতাম ৬-৮ হাজার টাকা। সারাদিনে এখন বিক্রি হয় ৩-৪ হাজার টাকা। আবার সব দিন একরকম বিক্রিও হয় না। হরতাল-অবরোধের কারণে বেচাকেনা অনেক কম।

মিরপুর ১ নাম্বার বৈশাখী সুপার মার্কেটের সামনের ফুটপাতের গরম কাপড় বিক্রেতা মো: আক্তার বলেন, শীতের কাপড়ের বেচাকেনা এখন অনেক কম। টুকটাক বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীতে এখনো শীত পড়েনি তাই বিক্রিও কম। বাচ্চাদের পাতলা গেঞ্জি বিভিন্ন ধরনের কাপড় বিক্রি করতে পারছি না এমন একটা অবস্থা।

তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের কারণে বেচাকেনা কম হচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানা এলাকায় মানুষ ঘুরতে আসলে কিন্তু হরতাল- অবরোধ কারণে আসছে না। এ কারণে আমাদের বিক্রিও বাড়ছে না। পাড়া-মোল্লার মানুষ আর কতই আর কেনাকাটা করবে। আমাদের পণ্য বিক্রির বেশিরভাগ ক্রেতা এখানকার ঘুরতে আসা মানুষরাই। বেচাকেনা কম হলেও বা বেশি হলেও শুকরিয়া,আলহামদুলিল্লাহ।

পূরবী সিনেমা হলের সামনের ফুটপাতে গরম কাপড় বিক্রেতা মো: রিয়াজ বলেন, শীত না পড়ায় ঢাকায় একটু বেচাকেনা কম। এখনো বেচাকেনা জমে ওঠেনি শীতও পড়েনি। অনেক মানুষ এখন ভোট আর নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। বিক্রি কম হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে হরতাল-অবরোধ।

একই স্থানের শীতের কাপড় বিক্রেতা মো. মাসুম হোসেন বলেন, শীতের কাপড় মূলত আমরা বিক্রি শুরু করে থাকি বছরের নভেম্বর মাসে। আজকে নভেম্বর মাসের ২৮ তারিখ। এখন পর্যন্ত ভালোভাবে শীতের কাপড় বিক্রি করতে পারেনি। বিগত বছরগুলোতে নভেম্বর মাসে প্রায় প্রতিদিনই শীতের কাপড় বিক্রি করতাম এখানে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার।হরতাল-অবরোধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন সারাদিনে বিক্রি করি তিন থেকে চার হাজার টাকা। কম বিক্রির মূল কারণ হচ্ছে হরতাল-অবরোধ।

মিরপুর ১১ নম্বরের কম্বল বিক্রেতা মো. মকবুল বলেন, দেশি প্রতিটি কম্বলের দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। আর আমদানি করা কম্বলের দামও বেড়েছে। বিদেশি কম্বলে প্রতি দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। একটি দেশি কম্বল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৭৫০ টাকায়। আর বিদেশি কম্বলের দাম ৮০০ টাকা থেকে আট হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, কাপড় ও মজুরি বাবদ খরচ বেড়েছে। যার কারণে পণ্যের দামও বেড়েছে। পুরোপুরি শীত ঢাকায় না পড়ায় কম্বল বিক্রি অনেক কম।

এছাড়াও

যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনকারী পুলিশের সংঘর্ষ চলছে

শেষবার্তা ডেস্ক : রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *