শেষবার্তা ডেস্ক: সন্ধ্যা নামলেই অনুভূত হচ্ছে শীত। রাতে ঝরছে কুয়াশা। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে ভোরের সকাল। হিমেল ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন লেপের উষ্ণতার। শীতের তীব্রতা বাড়ার আগেই মানুষ ভিড় জমাচ্ছে লেপ তোষক তৈরির বেডিং স্টোরগুলোতে।
শীতের আগমনী বার্তায় প্রতিটি পরিবারে শীত মোকাবেলায় লেপ তোষকের চাহিদা বেড়ে যায়। দিনে কিছুটা গরম থাকলেও রাতে ঠান্ডা ভাব পড়েছে। এভাবেই আসি আসি করছে শীত। এতেই লেপ-তোষক বানানোর কারিগররা বর্তমানে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন লেপ- তোষক তৈরিতে।
শীতের আগমনকে কেন্দ্র করে দোকান গুলোতে লেপ-তোষক বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ লেপ-তোশক ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে দেশের বিভিন্ন হাট-বাজার ও রাস্তা ঘাটে।
হিমেল শীতের পরশ থেকে উষ্ণতা পেতে কেউ পুরোনো লেপ-তোষক, বালিশ ঠিকঠাক করছে। আবার কেউ নতুন তৈরি করার অর্ডার দিচ্ছেন। অন্যদিকে অনেকে উঠিয়ে রাখা লেপ-তোষক বের করে রোদে শুকিয়ে ব্যবহারের উপযোগী করার চেষ্টা করছেন।
শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ-তোষক বানানোর কাজ শুরু হয় সেপ্টম্বর- অক্টোবর থেকেই। এখন ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোষক তৈরির কারিগর (ধুনকর) ও ব্যবসায়ীদের। দেশের বিভিন্ন জায়গায় লেপ-তোষক তৈরির দোকানে এখন রাত-দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন ধুনকররা।
বর্তমানে বাজারে শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪৬০ থেকে ৬২০ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ৩১০ থেকে ৩৬০ টাকা, প্রতি কেজি কালো হুল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, কালো রাবিশ তুলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, সাদা তুলা ১১০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা করে দামে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় তুলার দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাপড়ের প্রতি গজে ১০ থেকে ১৫ টাকা দাম বেড়েছে। প্রতিপিস লেপ- তোষক তৈরিতে খরচ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়েছে। মাঝারি ধরনের একটি লেপ বানাতে খরচ হচ্ছে ১২০০ থেকে দুই হাজার টাকা। তোষক বানাতে ১৫০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়।
তবে বিভিন্ন রকমের দামী-কমদামী তুলার প্রকারভেদে লেপ-তোষকের দাম কম-বেশি হয়ে থাকে।