Saturday , July 27 2024
Breaking News

চক্রটি ট্যাপেন্টাডল মাদক নিয়ে আসতেন ঢাকায়, গ্রেফতার ৫

জিহাদুল ইসলাম জিহাদ,ঢাকা: রাজধানীতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কলকাতা ফেরত ৫ যাত্রীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ট্যাপেন্টাডল উদ্ধার করেছে । চক্রটি এসব মাদক ঢাকায় নিয়ে আসতেন পার্শ্ববর্তী দেশ কলকাতা থেকে। এরপর তারা সেগুলো সারাদেশে ছড়িয়ে দিতেন।

বুধবার রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- হৃদয় ইসলাম রাজু (২৯), এ, কে, এম আবু সাইদ (৪৭), সোলাইমান (৪৪),আশিক সাইফ (৩৬) ও ফারুক (৩৫)।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রো উত্তর কার্যালয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপপরিচালক জনাব মোঃ রাশেদুজ্জামান।

তিনি বলেন, তারা কলকাতা থেকে লাগেজে করে এসব মাদক নিয়ে ফিরছিল। কিন্তু বিমানবন্দরের গ্রীন চ্যানেল পার হওয়ার সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪২ হাজার ২০০ শত পিস ট্যাপেন্টাডল মাদক উদ্ধার করা হয়। এ যাবৎ কালের ট্যাপেন্টাডল এর সর্ববৃহৎ চালান এটি।

চক্রটিকে গ্রেফতারের বিষয়ে তিনি বলেন, সোলাইমানের নের্তৃত্বে ট্যাপেন্টাডলের একটি বড় চালান হযরত শাহজালাল আন্তঃ বিমানবন্দরে ইউএস বাংলা ফ্লাইট নং-২০৪ যোগে কলকাতা হতে ঢাকায় আনা হচ্ছে এমন খবর আসে। সে তথ্যের ভিত্তিতে আমরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রীণ চ্যানেলে অবস্থান নেই। আমাদের অপর একটি টিম এ্যারাইভাল ইন্ট্রিগেট দিয়ে প্রবেশের সময় থেকে সোলাইমান ও সহযোগিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। তারা ইমিগ্রেশন শেষ করে ল্যাগেজ বেল্ট থেকে তাদের লাগেজ সংগ্রহ করে কাস্টমস চেকিংয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করে গ্রীন চ্যানেলে পার হলে তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সোলাইমান ও তার সহযোগিগণ স্বীকার করেন যে তারা কলকাতা থেকে বিপুল পরিমাণে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট নিয়ে এসেছেন। তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে।

ব্যবসার কৌশল বিষয়ে তিনি জানান, তাদের কাছে তথ্য ছিল একটি চক্র পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ফেন্সিডিল ও ট্যাপেন্টাডলের বড় চালান এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে তারা অনুসন্ধান করতে থাকেন। চক্রটির মূলহোতা মো. সোলাইমান। সোলাইমান মাসে ৪-৫ বার ভারতের কলকাতা গমন করতেন। বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে ট্যাপেন্টাডলসহ অন্যান্য অবৈধ মাদক দেশে নিয়ে আসতেন। এ কাজে তিনি তার একাধিক সহযোগিকে ব্যবহার করতেন। গত আগষ্টে এ চক্রের একজন সদস্য ফেন্সিডিলসহ বিমানবন্দরে গ্রেফতা হয়। ব্যবসার কৌশল হিসেবে তারা কলকাতা গমনের ক্ষেত্রে যশোর বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহার করতেন এবং দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে রুট হিসেবে ব্যবহার করতেন।

তিনি আরো বলেন, এসময় সোলাইমানের ট্রান্সি ব্যাগের ভেতর কাপড়ে লুকানো অবস্থায ৩ হাজার পাতা প্রতি পাতায় ১০ পিস করে মোট ৩০ হাজার পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও হৃদয় ইসলাম রাজু ডান হাতে ঝুলানো স্কুল ব্যাগের ভেতর ৪০০ পাতা প্রতি পাতায় ১০ পিস করে ৪ হাজার পিস ট্যাবলেট এবং এ, কে, এম আবু সাইদ ডান হাতে থাকা শপিং ব্যাগের ভেতর ৩ হাজার পিস। আশীক সাইফ ডান হাতের ব্যাগে ৩ হাজার এবং ফারুক ডান হাতে ব্যাগে ২ হাজার ২০০ পিস উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি তাদের সবার বোর্ডিং পাস ও পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে।

এছাড়াও

মিরপুর গার্লস আইডিয়ালের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ হাতানোর অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি: ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে অনৈতিকভাবে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *