মো: সোলায়মান: রাজধানী পল্লবীতে ঢাকা মহানগর উত্তর সেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য ও পল্লবী থানার সাবেক সহ-সভাপতি আমান উল্লাহ আমানসহ পল্লবী থানার দুই পুলিশ সদস্য, সোর্সের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা করেন ভুক্তভোগী এক নারী।
ঘটনাটি গত ১৮ আগস্ট ২০২৩ শুক্রবার পল্লবী থানাধীন সিরামিক রোড টেকের বাড়ী বস্তিতে আমানের নিজ বাড়ীতে ঘটে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(৩)/৩০ ধারায় আসামী করা হয়, আমান উল্লাহ আমান (৫০), ইয়াকুব (৩২)ও মোসা: রিনা (৪০) (বাদিনীর সৎ মা)। অজ্ঞাতনামা আরও দুই পুলিশ সদস্য (দেখিলে চিনবে) উল্লেখ করে কোর্টে মামলা করেন ভুক্তভোগী নিজে।
এজাহার সুত্রে, আসামীরা খুবই হিংস্র লম্পট, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, নারী নির্যাতনকারী,নারী ধর্ষণকারী খারাপ ব্যক্তি বটে। তাহারা কোনো আইনকানুন তোয়াক্কা করেনা, গায়ের জোরে করতে পারেনা এমন কোনো কাজ নেই। আসামীরা বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড করে জীবীকা নির্বাহ করে। রাতের বেলায় একা পেয়ে আমাকে (বাদী) বিভিন্ন ভয়ভীতি ও পিস্তল দেখাইয়া একজনের পর একজন জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আমানের ঘরে। এ ঘটনা কাউকে বললে বা থানা পুলিশ করলে তাকে ও তার স্বামীকে হত্যা করবে বলেও হুমকি দেয় আসামীরা। গণধর্ষণের এক পর্যায়ে বাদীনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে রাত তিনটার দিকে জ্ঞান ফিরলে বাদী তার রুমে চলে আসে। অর্থাৎ রাত ১২টা হতে তিনটা পর্যন্ত তাকে আসামীরা উপর্যুপরি ধর্ষণ করে।
বাদী বর্নিত বিষয়ে পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে নানা ধরনের তালবাহানা করতে থাকেন এবং বিভিন্ন অজুহাতে ঘুরাইতে থাকেন। বাদীনির স্বামী বাবু জেল থেকে মুক্ত হয়ে বাসায় আসলে সব কিছু খুলে বলে। পরে ঢাকা কোর্টে মামলা করে।
এ বিষয়ে মিরপুর জোনের ডিসি জসিম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনা আমার জানা নেই, ঘটনা সত্য হলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।