মোঃ সোলায়মান : জঙ্গিরা কোন নরমাল টেলিফোন বা নরমাল অ্যাপস ব্যবহার করে না।এক একটি জঙ্গি ধরতে আমাদের প্রচুর সময় লাগে।জঙ্গিদের পিছনে প্রচুর সময় ব্যয় করে এক একজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করতে হয় বলে জানিয়েছেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) ঢাকা ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অপারেশনে যারা জড়িত ছিল তাদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা অপারেশনে জড়িত ছিল তাদেরকে আগে গ্রেফতার করতে পেরেছি। আমার ধারণা যেই দুজন জঙ্গি পালিয়ে আছে, তাদেরকে আমরা অতিসতাই গ্রেফতার করতে পারব।
পুলিশ কমিশনার বলেন, বঙ্গবাজারের পাশে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরে বিক্ষিপ্ত কিছু জনতা ভাঙচুর করেছে। এ সময় অফিসও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মনে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের হামলাটি পরিকল্পিত আক্রমণ। আমরা এই মামলা রেকর্ড করেছি। এর মধ্যে ১১ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছি। গ্রেফতার তাদের সাথে ভিডিও ফুটেজের অনেকের চেহারার মিল আছে। আমরা তাদেরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, ফায়ার সার্ভিসে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার আসামিদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ করবে জানার চেষ্টা করব। এখানে অন্য কোন পরিকল্পনা , ভিন্ন কোন দৃষ্টিকোণ ও ভিন্ন কোন গোষ্ঠীর থেকে এই ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তথ্য পেলে জানাবো।
এর আগে, গত ২০ ডিসেম্বর দুপুরে দুই জঙ্গিকে একটি মামলায় ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে পুলিশ সদস্যরা তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে করে জঙ্গি সদস্য মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এই দুই জঙ্গি দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
দিনে দুপুরে আদালত চত্ত্বর থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের পর নড়েচড়ে বসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর টানা অভিযানে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনো অধরা রয়েছেন ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গি।