নিজস্ব প্রতিনিধি:
নড়াইল লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুমন এবং চাচোই গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি আতিয়ারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।রয়েছে নানা অনিয়ম আর স্বজন প্রীতির অভিযোগও।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গরীবের জন্য দেওয়া বিভিন্ন অনুদান নিয়েও এখানে আছে নানা অনিয়ম আর দূর্নীতি।জয়পুর ইউনিয়নের চাচোই গ্রামের ভাতা কার্ড, গরীবের জন্য ১০ টাকার চাল সহ সরকারি সকল অনুদান নিয়েই অনিয়মের মাত্রা সীমাহীন।
চাচোই গ্রাম ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাসিদা বেগম, স্বামী ইকরাম ফকির পেশায় একজন ভ্যান চালক। অতিকষ্টে তাদের সংসার চলে অথচ তারা পায়নি কোন ভাতা কার্ড বা সরকারি কোন অনুদান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান,আমাদের ওয়ার্ডের মৃত খবির জমাদ্দারের স্ত্রী যার এক সন্তান কৃষি কাজ করে দুই ভাইয়ের পড়া লেখার খরচ সহ সংসার চালাতে হিমসিম খায় তারাও পায়নি কোন সরকারি অনুদান বা ১০ টাকার চালের সুবিধা।
অপর দিকে, চেয়ারম্যান এর কাছের লোক হয়ার জন্য রাজু মোল্লার পরিবারের একাধিক সদস্যদের নামে কার্ড হবার সাথে সরকারি সকল অনুদান তাদের পরিবার সুবিধা পেয়ে থাকে। যদিও রাজু মোল্লার পরিবারের একাধিক সদস্য প্রবাসী এবং তারা যথেষ্ট স্বচ্ছল।
তিনি আরো বলেন, সুমন শরীফ, বাবা শাহাদত শরীফ এই পরিবারেরও আছে একাধিক কার্ড এবং নিয়মিত সরকারি বিভিন্ন অনুদান পাওয়ার প্রাপ্তির প্রমাণ। যদিও এই পরিবারটাও যথেষ্ট স্বচ্ছল তবুও মা, দাদী, স্ত্রী সকলেরই আলাদা কার্ড।
গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,চাকরিজীবি ও সচ্ছল পরিবারের হয়েও পেয়েছেন ভাতা কার্ড সহ ১০ টাকার চাল এমন পরিবারও কম না। আতাউর খাঁ, ফয়েজ খাঁ এবং আজিজুর খাঁ উভয়েরই পিতা হালিম খাঁ। এই পরিবারের সচ্ছলতা এবং চাকরিজীবি হয়েও পেয়েছেন তিন টা কার্ড কারণ আতাউর খাঁ চেয়ারম্যানের লোক।
সঠিক তদন্ত করলে এমন অনিয়ম আর দূর্নীতির প্রমাণই মিলবে সব। যা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এসব দূর্নীতিবাজ আর লোভী জনপ্রতিনিধিদের জন্য একাধারে গরীব দুঃখী সাধারণ মানুষ যেমন সরকারি নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি নষ্ট হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল প্রচেষ্টা।