আর্ন্তজাতিক বার্তা ডেস্ক :
বাংলাদেশের চাওয়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ আগামী বছরের জানুয়ারির আগে পাওয়া যাবেনা বলে আভাস দিয়েছেন সমন্বয়কারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশ সরকার যদি আইএমএফের শর্ত মেনে নেয়, তবে, আগামী বছরের শুরুতে ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া সম্ভব। সরকার যদি শর্ত পূরণে আরও আন্তরিকতা দেখায়, তবে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রথম কিস্তি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) আইএমএফের একটি দল ঢাকায় আসছে। এই ঋণদাতার রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ট্রাস্টের (আরএসটি) অধীনে, বাংলাদেশ যে ঋণ চেয়েছে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে ঢাকা আসছে প্রতিনিধি দলটি । আরএসটি, আইএমএফের সদস্য দেশগুলোকে টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, আইএমএফের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসছে। এবার তারা ঋণ দেয়ার শর্ত নিয়ে আলোচনা করবেন। কত দ্রুত ঋণ পাওয়া যাবে তা নির্ভর করবে এই দলের রিপোর্টের ওপর। আইএমএফের ঋণ নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন “ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি জানুয়ারিতে আইএমএফের বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান বলেন, আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদন আইএমএফ বোর্ডে জমা দেওয়ার পর ঋণ পাওয়া যাবে। তবে, ঋণের প্রথম কিস্তি কবে পাওয়া যাবে, তা বলা মুশকিল।