Sunday , October 6 2024
ফাইল ছবি

প্রস্তুত ৭০৩০টি আশ্রয় কেন্দ্র

 শেষ বার্তা ডেস্ক :

উপকূলীয় জেলাগুলোতে ২৫ লাখ মানুষের জন্য ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় ৭ হাজার ৩০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেছেন, সিত্রাংয়ের যে বিস্তার, তাতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৩ জেলায় এ ঝড় তাণ্ডব চালাতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার প্রস্তুতি সমন্বয়ে দুপুরে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। তিনি বলেন, ৭ হাজার ৩০টি শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে এবং ২৫ লাখ মানুষ এসব আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবেন। সকাল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন নেয়া শুরু হয়েছে।

দুর্যোগপ্রবণ জেলাগুলোয় ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়ার পাশাপাশি শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে এনে তাদের জীবন রক্ষা করতে। একটি লোকও যদি মৃত্যুবরণ না করেন, এটাই হবে সফলতা। সেইসঙ্গে খাদ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং গবাদিপশুকে রক্ষা করার নির্দেশনাও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এসেছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় সিত্রাং এর অগ্রভাগ আঘাত করবে আর মূল ‘আই’ আঘাত করবে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৭ টার দিকে। এখন পর্যন্ত বুঝতে পারছি ১৩টি জেলায় সিত্রাং তাণ্ডব চালাবে। এই জেলাগুলো হলো বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী।

এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দ্বীপ অঞ্চল মহেশখালী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ এলাকাও ঝুঁকিপূর্ণ। তবে বরগুনা সদর, পাথরঘাটা ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বেশি পড়বে বলে মনে করছেন এনামুর রহমান।

এছাড়াও

মুক্তি পেয়েই সমন্বয়ক সারজিসের স্ট্যাটাস

মুক্ত হয়ে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। বৃহস্পতিবার (১ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *