আর্ন্তজাতিক বার্তা ডেস্ক : করোনার সময় আরোপিত বেশ কিছু কঠোর নিয়মও বাতিল করেছে দেশটির সরকার। করোনার ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি হংকং। তাই পর্যটনশিল্পকে পুনরুদ্ধারে ৫ লাখ বিমানের টিকিট বিতরণ করবে দেশটি, যার মূল্য ২ বিলিয়ন হংকং ডলার বা ২৫৪.৮ মিলিয়ন ডলার। খবর বিবিসির।
এ নিয়ে হংকং ট্যুরিজম বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ডেন চেং বলেছেন, এয়ারলাইনস সংস্থাগুলোর সাথে আলোচনা করে এ সংক্রান্ত বিষয়গুলো চূড়ান্ত করবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সরকার ঘোষণা দিলে আমরা ভ্রমণকারীদের জন্য কোভিডের সব নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে দেবো। সেই সাথে বিনামূল্যে বিমানের টিকিটের জন্য বিজ্ঞাপণও প্রচারণা চালানো হবে।
মূলত করোনার বিরুদ্ধে চীনের শূন্য নীতির অধীনে আরোপিত একাধিক কঠোর নীতি পর্যটকদের জন্য বাতিল করেছে হংকং। এর আওতায় এখন থেকে দেশটিতে পৌঁছানোর পর হোটেলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের নিয়ম বাতিল করা হয়েছে। সেই সাথে বোডিংয়ের আগে করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখানোর নীতিও বাতিল করা হয়েছে। এসব কঠোর পন্থা বাতিল করায় এরই মধ্যে হংকংয়ের দিকে ঝুঁকেছে পর্যটকরা। বিমান সংস্থাগুলোও করোনা পরিস্থিতির আগের সময়সূচি চালু করার চেষ্টা করছে।
এদিকে, এ পরিস্থিতির মধ্যেই হংকংয়ের সাথে লন্ডনের বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্যের বিমান সংস্থা ভার্জিন আটলান্টিক। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ জানায়, চলমান যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার আকাশপথ বন্ধ থাকায় ২০২৩ সালের মার্চ থেকে হংকংয়ের সাথে লন্ডনের বিমানচলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই রুটে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভার্জিন আটলান্টিক। ২০২৩ সালের মার্চে যারা এই রুটে ফ্লাইট বুক করেছিলেন তাদের অর্থ ফেরত দেয়া হবে বলেও জানায় বিমান সংস্থাটি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে হংকংয়ে আসে ১ লাখ ৮৪ হাজার পর্যটক। করোনা শুরুর আগের সময়ের চেয়ে এই সংখ্যা অত্যন্ত কম। এর আগে ২০১৯ সালে ৫ কোটি ৬০ লাখ পর্যটক।