খেলার বার্তা ডেস্ক :
অনেক দিন পর দেখা মিলল ক্লাসিক বিরাট কোহলির নাটকীয় আর রোমাঞ্চে ভরপুর ম্যাচ শেষে ভারতের পরিতৃপ্তি। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর রমরমা থ্রিলার, নো বল আর বাই রানের ইস্যুতে শেষ হচ্ছে না ম্যাচের উত্তেজনা। দেখে নেওয়া যাক আইসিসির নিয়মে কী রয়েছে?
আইসিসির নিয়মে যা আছে
প্লেয়িং কন্ডিশনের ২১.১৯.২ ধারা বলছে, সাধারণত নো বলে যেসব আউট হয়, ফ্রি হিটের ক্ষেত্রে কোনো ব্যাটার সেই আউটগুলোই হবেন। এমনকি ফ্রি হিটটি যদি ওয়াইডও হয়।
সাধারণত একজন ব্যাটার নো বলে তিন ধরনের আউট হতে পারেন। সেগুলো হলো রানআউট, অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড বা ফিল্ডিংয়ে বাধা এবং বলে ডাবল বা ট্রিপল হিটে। এর কোনোটিই কোহলি হয়নি, কাজেই নিয়মানুযায়ী তিনি আউট ছিলেন না।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে কোনো ব্যাটার বোল্ড হলে সেই বলটি ডেড হয়ে যায়, তাহলে রান হলো কিভাবে?
বিশ্ব ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা এমসিসির বিধি বলছে, মূলত তিন কারণে বল ডেড হয়। বলটি যখন উইকেটকিপার বা বোলারের হাতে যাবে, বাউন্ডারি হলে এবং ব্যাটার আউট হলে।
ফ্রি হিট থাকায় সেই বলে আউট হননি কোহলি। বল উইকেটকিপার বা বোলারের হাতে যায়নি। যে কারণে স্টাম্পে লেগে থার্ড ম্যানে চলে যাওয়ায় সেখান থেকে ফিরে আসার আগেই ৩ রান নিয়ে নিতে পেরেছেন ব্যাটাররা। আর তিন রানই যোগ হয়েছে ভারতের স্কোর বোর্ডে।
আইসিসির নিয়মে যা আছে
রুল বুকের ৪১.৭.১ ধারা বলা হয়েছে, যদি কোনো বোলারের ডেলিভারি উইকেটে পিচ না করে, পপিং ক্রিজে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাটারের কোমর উচ্চতার উপরে থাকে তখন আম্পায়ার সঙ্গে সঙ্গে নো বল ডাকবেন বা সংকেত দেবেন।
টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় শটটি খেলার সময় কিছুটা সামনে এগিয়ে আসলেও কোহলির পা পপিং ক্রিজে ছিল।
নো বলের কারণে ফ্রি হিট পায় ভারত। এই বলটি খেলতে গিয়ে বোল্ড হন কোহলি। স্টাম্পে লাগার পর বল চলে যায় থার্ড ম্যানে। শাহিন শাহ আফ্রিদি ফিল্ডিং করে বল ফেরত পাঠানোর আগেই দৌড়ে তিন রান নেন কোহলি ও কার্তিক। ফ্রি হিট হওয়ায় বোল্ড হওয়ার পরও কোহলিকে সাজঘরে ফিরতে হয়নি, কেন?