শেষ বার্তা ডেস্ক : পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, চীনের দেবার অনেক কিছু আছে, আমাদেরও নেবার অনেক কিছু আছে। আমাদের অর্থনীতির প্রধান উৎপাদক কৃষক ও মজুর। তাদের (কৃষক ও মজুর) কাজের পরিবেশের অবকাঠামো তৈরিতে আমাদের কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে বেল্ট এন্ড রোড ইনিসিটিভ (বিআরআই) এর দশম বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এম এ মান্নান বলেন, সেই অবকাঠামো তৈরির জন্য আমরা নিজের পরিশ্রম করে যথেষ্ট অর্থ জোগাড় করতে পারছি না। বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা অর্থ নিয়ে আসছি আগামী প্রজন্মের ভরসায়, সেই অর্থ পরিশোধ করবে। ভালো শর্তে ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে পাচ্ছি। চায়না আমাদের এশিও প্রতিবেশী।
এশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে আমরা চায়নার সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ করছি। তাদের সাথে কাজ করতে আমরা স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। এতে কারে কারো সাথে বিদ্বেষ মূলক বা পক্ষপাত বিষয় নেই। আমরা সবার সাথেই বন্ধুত্ব করি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সময় নেই, অনেক সময় নষ্ট হয়ে গেছে। চীনের সাথে বন্ধুত্বের বিষয় আমাদের অগ্র তালিকায় রয়েছে। চীন আমাদেরকে শুল্কমুক্ত একটি ব্যবসার সুযোগ দিয়েছে। স্বল্প আয়ের যে সুবিধা পাই সেটা দুই বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
২০২৬ সালে আমাদের বিভিন্ন দেশে ব্যবসা শুল্কের আয়তন মধ্যে পড়বে। এরই মধ্যে আমাদের সাথে অনেক বন্ধু রাষ্ট্র যোগাযোগ করেছে। তার মধ্যে চীন অন্যতম রাষ্ট্র। তারা আমাদের অনেকগুলো পণ্য বীণা শুল্কের ঘোষণা দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম-এল) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ও জাসদ সভাপতি আহসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, ভারপ্রাপ্ত চীনা রাষ্ট্রদূত এইচ.ই. ইয়ান হুয়ালং প্রমুখ।