Related Articles
নিজস্ব প্রতিনিধি : নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ অভিযোগ করেছেন, গায়ক নোবেলের মাদকাসক্তির পেছনে কয়েকজন শিল্পী ও ইন্টারন্যাশনাল রুটে চলাচল করা বিমানের এয়ার হোস্টেজ জড়িত। তারাই নোবেলকে মাদক সাপ্লাই দিয়। এমন কি তাদের এই সকল বিষয়নি আমি কথা বলায় আমাকে বিভিন্ন নাম্বার থেকে হুমকি দেওয়া হতো। তবে জড়িত কারও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
নির্যাতন ও ডিবিতে আসার বিষয়ে সালসাবিল বলেন, নোবেল মাদক সেবন করে বাসায় এসে আমাকে নির্যাতন করত। একদিন ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশ ডাকি। তারা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। নোবেল সেই পুলিশ সদস্যদের সামনে স্বীকার করেছে মাদক সেবনের কারণে আমাকে মারধর করে। এরপর আমি গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। যদিও পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয় নি।
আজ ডিবি পুলিশ থেকে আমাকে ডাকা হয়েছে। আমি তাদের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি। তারা পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন ডিবি কর্মকর্তারা।
ভারতীয় সারেগামাপা খ্যাত গায়ক নোবেললে গ্রেফতারের বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, নোবেল একজন প্রতিষ্ঠিত গায়ক। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হাইস্কুলে সাবেক শিক্ষার্থীদের আয়োজনে গান গাওয়ার চুক্তি করে। তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নেয়। নিজেও যাওয়ার কথা জানিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। কিন্তু অনুষ্ঠানে সেখানে যায় নি। টাকা চাওয়ার পরে তাও ফেরত দেয় নি। এই ঘটনার পরে মামলা হয় কিন্তু সে মামলার পরেও পুলিশ কিংবা আদালতেও আত্মসমর্পণ করে নি।
এছাড়া সে বিভিন্ন স্থানে স্টেজ প্রগ্রামে গিয়ে ভাঙচুর করা, মাতলামি করার অভিযোগ রয়েছে।
তার এই সকল অপকর্মের বিষয়ে আমরা নোবেলকে একাধিকবার বুঝিয়েছি। কিন্তু সে নিয়মিত মাদক সেবন করছে। স্ত্রীকে মারধর করছে। মাদকাসক্ত থাকার কারণে আমরা সে কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা দিয়েও যেতে পারে না।
এক প্রশ্নের জবাবে হারুন আরও বলেন, তার এই সকল কার্যক্রমের কারণে তার বাবা তাকে ত্যাজ্যপুত্র করেছে। উত্তরাঞ্চলে একটি অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে মাতলামি করেছে। মঞ্চ ভাঙচুর করেছে। স্ত্রীকে মারধর করেছে। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ রয়েছে।