শেষ বার্তা ডেস্ক :
সরকার সিএনজি স্টেশন বন্ধের সময় বাড়াতে চায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়ায়। স্টেশনগুলো বর্তমানে দৈনিক ৫ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকে। সরকার চাইছে, আরও দুই ঘণ্টা বাড়াতে। আর এমনটি করলে দেশব্যাপী কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। তারা বলছেন, সিএনজি স্টেশনগুলোতে এখন ঠিকমতো গ্যাসের প্রেশার পায় না। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা লোডশেডিং। এসব কারণে এখন ব্যবসায় খারাপ অবস্থা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত মঙ্গলবার সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে এসব বিষয়ে বৈঠক করে পেট্রোবাংলা। এ বৈঠকে সিএনজি স্টেশন পাঁচ ঘণ্টার পরিবর্তে সাত ঘণ্টা বন্ধ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সিএনজি মালিকরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। বর্তমানে দেশের সব সিএনজি স্টেশন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে।
বৈঠকে পেট্রোবাংলার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে সিএনজি মালিকরা বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে সিএনজি স্টেশন দৈনিক চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হচ্ছে, যা ঢাকার বাইরে আরও বেশি সময় বন্ধ থাকে। এ ছাড়া গ্যাসের চাপের স্বল্পতার কারণে গ্যাস রিফিল (সিলিন্ডার ভরাট করা) করতে অনেক সময় লাগে। এর মধ্যে রেশনিং আরও দুই ঘণ্টা বাড়লে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে।
গত ১ মার্চ থেকে সিএনজি স্টেশনগুলো সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়। এর আগে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বন্ধ থাকত। জ্বালানি বিভাগের ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে অনুমোদিত সিএনজি স্টেশনের সংখ্যা ৬০৩। একই অর্থবছরে দেশে সিএনজিতে রূপান্তর হওয়া গাড়ির সংখ্যা ৮ হাজার ৭০৫টি। দেশের এখন মোট সিএনজিচালিত গাড়ির সংখ্যা ৫ লাখ ৫ হাজার ৮১৭টি। এর মধ্যে থ্রি-হুইলার অটোরিকশার সংখ্যা ১ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি। আর একই অর্থবছরে সিএনজি খাতে ২ হাজার ৫৪ মিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস সরবরাহ করা হয়।