Saturday , July 27 2024
Breaking News

বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচী বিশ্বের রোল মডেল

শেষবার্তা ডেস্ক : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) টিকাদান কার্যক্রম জোরদারকরণের অঙ্গীকার ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের সবাইকে শতভাগ টিকার আওতায় আনার ঘোষণা বাস্তবায়নে সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রম জোরদারকরনে ডিনসিসি অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন ডিনসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচী বিশ্বের রোল মডেল। টিকাদান প্রক্রিয়াকে আরো কিভাবে জোরদার করা যায় তা নিয়ে ডিএনসিসি কাজ করছে। এ জন্য টিকাদানে ডিএনসিসি’র সক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে। একই সাথে কোন শিশু যেন বাদ না যায় তাই সান্ধ্যকালীন টিকাদান কর্মসূচীকে আরো ভালোভাবে মনিটর করার পাশাপাশি শিশুদের সুরক্ষায় টিকাদান কর্মসূচীকে গুরত্ব দেয়া হচ্ছে।

বুধবার (১৫ মে) সকালে ডিএনসিসি প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে “ডিএনসিসিতে সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রমের চ্যালেঞ্জ এবং তা থেকে উত্তরণের উপায়” বিষয়ক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করে গ্যাভী সিএসও’র ভাইস চেয়ারম্যান এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডাঃ নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন টিকাদান কার্যক্রমের তুলনামূলক ভাবে সফলতা অর্জন করলেও বেশ কিছু জায়গায় পিছিয়ে আছে। যার মূল কারন টিকাদান কার্যক্রমের সাথে জড়িত জনবল সংকট। পর্যাপ্ত টিকার অভাবের পাশাপাশি অভিভাবকদের অসচেতনতার কারনেও কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। যা অনেক শিশুকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। সমস্যা সমাধান নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পাদন করা জরুরী। অবস্থান ভেদে নতুন পদ সৃষ্টি এবং সেখানে জনবল নিয়োগ এবং কার্যকর মনিটরিং এর মাধ্যমে টিকাদান প্রক্রিয়াকে জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে।

সভায় ইউনিসেফ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফারহানা রহমান বলেন, শহরে শিশুদের শতভাগ টিকাদান নিশ্চিত করা হচ্ছে মূল চ্যালেঞ্জ। স্থানান্তরিত এবং কর্মজীবী মায়েদের শিশুরা মূলত শতভাগ টিকা পায় না এবং ড্রপ-আউট হয়ে পরে। এ জন্য সিটি কর্পোরেশনকে এগিয়ে আসতে হবে। সব শিশুকে টিকাদানে প্রয়োজনে সান্ধ্যকালীন টিকাকেন্দ্র বাড়াতে হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এমএনসি ও এএইচ) ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, ডিনসিসি’র উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে: কর্ণেল রুবাইয়াত ইসমত অভীক এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং এর সমন্বয়ক এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক অধ্যাপক ডঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম। ইপিআই এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন, ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় ইপিআই টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে এই সমীক্ষা পরিচালনা করে।

এছাড়াও

“অভিভাবকহীন সন্তানদের থেকে রাষ্ট্রও যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে”

সাঈদুর রহমান রিমন: বৈষম্যের মাধ্যমে সৃষ্ট বঞ্চনা, নিপীড়নের ‘কোটা বিরোধী’ যৌক্তিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমেছে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *