মো: সোলায়মান : ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ৭১টি ওয়ার্ডভিত্তিক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ মার্চ,২০২৪) রাজধানী পল্লবী থানাধীন ০৫নং ওয়ার্ডে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক।
আয়োজক ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী বাদশা মিয়ার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আসলাম হোসেন গাজী ও সহ সভাপতি আলীম মিরাজের সঞ্চালনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ২,৩,৫নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মেহেরুন নেসা হক,ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মাহাবুব আলম মন্টু, পল্লবী থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক আশরাফ আলী গাজী, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনি,পশ্চিম ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাসান রাজসহ ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উপস্থিত নেতাকর্মী আর সাধারণ মানুষের উদ্দেশে আমিনুল হক বলেন, দেশের মানুষ ভালো নেই। দেশের জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র কেড়ে নিয়েছে এই আওয়ামী লীগ সরকার। আজ দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা।
আজ বিচার বিভাগ, বিদ্যুৎ সেক্টর, গ্যাস সেক্টর সহ সব বিভাগ দুর্নীতিগ্রস্ত। দেশের ব্যাংকগুলো লুটপাট হওয়ার কারণে আমরা অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে আছি।
তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কিরে আনার জন্য আমরা লড়াই করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার নির্বাচিত সরকার নয় তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র কেউ ভোট দিতে যায়নি, এটাই বিএনপি’র নৈতিক জয় আওয়ামী লীগের পরাজয়। আপনাদের হতাশ হবার কোন কারণ নেই, আপনারা উজ্জীবিত এবং ঐক্যবদ্ধ থাকেন। বিজয় আমাদের হবেই । আমরা বাংলাদেশের জনগণের অধিকার আদায়ের রাজপথে আছি, তাদের ভোটাধিকার ফেরত আনার জন্য রাজপথে আছি। বিএনপি বাংলাদেশের জনগণের কথা বলে। আমরা দেশের মানুষের ভোটের অধিকার আদায় ও গণতন্ত্র ফিরে আনা পর্যন্ত আমাদের এই আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালবে।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, সিন্ডিকেট আর লুটপাট হলো আওয়ামী লীগ সরকারের অপর নাম। দেশ থেকে দখলদার আওয়ামী সরকারকে বিদায় না করতে পারলে মানুষের দুর্ভোগ-দুর্দশা তো কমবেই না, বরং দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্বও ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন ঘটাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ৭ জানুয়ারির ডামি সরকারকে বিদায় না করা পর্যন্ত আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে পিছপা হবেন না তারা। জনগণের বিজয় হবেই।
ইফতার মহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তিসহ দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।