Saturday , July 27 2024
Breaking News
শাহ আলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান তাপস ও তুহিন কাজী

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে শাহ আলী থানার এসআইদের চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ২

মো: সোলায়মান: রাজধানীর শাহ আলী থানার দুই উপপরিদর্শককের (এসআই) বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে উঠেছে । তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শেরে বাংলা থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। শাহ আলী থানায় কর্মরত গ্রেপ্তার দুই পুলিশ হলেন- এসআই তুহিন কাজী ও এসআই মশিউর রহমান তাপস।শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ওসি আহাদ বলেন, আসামি ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয় আমি কিছুই বলতে পারব না। ডিসি স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি সব বলতে পারবেন।

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী মো. শাহাদাৎ সরদার বলেন, গত শনিবার (৯ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আমার এক পরিচিত ছোট ভাইয়ের সাথে দেখা করার জন্য আসি। তাকে না পেয়ে রিকশার করে শেরেবাংলা কৃষি বিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পান্থপথ যাওয়ার সময় আনুমানিক বিকেল শোয়া ৩ টার দিকে শেরেবাংলা নগর থানার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্মানাধীন ভবনের কাছে পৌছালে নীল রংয়ের একটি প্রাইভেটকার আমার রিকশার গতিরোধ করে। সেময় অজ্ঞাতনামা ৩ জন লোক প্রাইভেটকার থেকে নেমে ডিবি পরিচয় দিয়ে আমাকে -ই প্রাইভেটকারে উঠিয়ে আমার হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেয়, কালো কাপড় দিয়ে আমার চোখ ও মুখ বেধে ফেলে। আমার প্যান্টের পকেটে থাকা, মানিব্যাগ, এস কালারের ভিভো ১৭ মোবাইল ফোন, এ যাহার আইএমইআই নং-১, ৮৬৬১৮৩০৬৭৮৪৬৭৯৭ ২. ৮৬৬১৮৩০৬৭৮৪৬৭৮৯, যাহাতে ব্যাবহৃত সীম দুটি খুলে আমাকে দিয়ে দেয়, যাহার মূল্য-১৫,৯৯৯/- টাকা, এবং আমার পকেটে থাকা নগদ ১ লাখ ৭০,০০০ টাকা জোরপূর্বক নিয়ে নেয়।

ভুক্তভোগী শাহাদাৎ আরো জানান, এরপরে আসামিরা আমাকে একটি বাসায় নিয়ে যায়। আমার মানিব্যাগে থাকা ডিবিবিএল ব্যাংকের এটিএম কার্ড এর পিনকোড চায় আমি তাদের পিনকোড ২ দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা আমাকে এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুসি মারতে থাকে। আমি আমার জীবন রক্ষার্থে তাদেরকে এটিএম কার্ডের পিনকোড বলে দিই। আসামিরা এটিএম বুথে যেয়ে কার্ডের ব্যালেন্স চেক করে টাকার পরিমান জেনে নেয়। তারাই আমার ফোনে ন্যাক্সাস পে এ্যাপ ইনস্টল করে ন্যাক্সাস – পে এর মাধ্যামে আমার একাউন্টে থাকা টাকা বিবাদীরা সিটি ব্যাংকের একাউন্ট নং -১৫০২৪৯৯৫৪৩০০১ তে পর্যায়ক্রমে ৩ লাখ ১০ টাকা, ৩ লাখ১০ টাকা, ১ লাখ ৩৩,০১০ টাকা, মোট ৭ লাখ ৩৩,০৩০ টাকা স্থানান্তর করে নেয়। সর্বমোট টাকার পরিমান ৯ লাখ ১৯,০২৯ টাকা। আসামিয়া সাদা কাগজে আমার স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। পরে তারা আবার আমার হাতে হাতকড়া পরিয়ে,কালো কাপড়ে চোখ ও মুখ বেধে গাড়ীতে উঠিয়ে নেয়। একপর্যায়ে রাত ০৯.৩০ ঘটিকায় আসামিরা আমার হাতের হাতকড়া খুলে “আমাকে মিরপুর-১ এর স্বার্শবর্তী এলাকয় গাড়ী থেকে নামিয়ে দেয়। আমি তাদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে বাস করে কলাবাগানের বাসায় চলে যাই।

এর আগে, মঙ্গলবার রাতে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক জানান, নির্দিষ্ট মামলায় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জড়িত থাকার বিষয় প্রমাণ পাওয়া গেলে দুই এসআইকে গ্রেপ্তার করা হবে।

বুধবার দুপুর পর্যন্ত তেজগাঁও বিভাগের ডিসিকে খুদেবার্তা দিয়ে ও অসংখ্য বার ফোন করে তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)’র যুগ্ম-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, আইজিপি থেকে শুরু করে পুলিশ কনস্টেবল পর্যন্ত আমাদের প্রায় ২ লাখ দশ হাজার জনের পুলিশ বাহিনী। এই বাহিনীতে ২-৪ জন দুষ্ট লোক-জন নেই কখনো অস্বীকার করিনা। আমাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতার মানসিকতার লোক থাকতে পারে। তারা যখন অপরাধ করে সঙ্গে সঙ্গে আমরা তার ডিটেক্ট করতে পারি, মানুষ যখন অভিযোগ করে, সেটা যখন প্রমাণিত হয় তখন আমরা আমাদের সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে বিন্দুমাত্র বিচলিত হই না। আমাদের সৌন্দর্য হচ্ছে, আমাদের সদস্যদের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিচলিত হয় না।

তিনি আরো বলেন, শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হওয়ার পরে যদি কেউ উশৃংখল আচরণ করে, অথবা ফৌজদারি কোন অপরাধের সাথে যুক্ত হয় তখন সে পুলিশ না সাধারণ মানুষ এটি বিবেচনা করার কোন সুযোগ নাই। আমরা তখন তাকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করি। অপরাধী যদি আমাদের বাহিনী সদস্য হয় অবশ্যই সে একজন অপরাধী। আমার বাহিনী বা অন্য কোন যেকোনো জায়গার সদস্য হোক না কেন একজন অপরাধীর পরিচয় অপরাধী। অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী ও ডিপার্টমেন্টাল সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফৌজদারী ব্যবস্থায় মামলা হবে, আসামি গ্রেপ্তার হবে ও বিচারের জন্য সোপর্দ হবে। সেই ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি এবং সেই ব্যবস্থা চলমান থাকবে।

এছাড়াও

মিরপুর গার্লস আইডিয়ালের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ হাতানোর অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি: ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে অনৈতিকভাবে অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *