Saturday , July 27 2024
Breaking News
ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল হবে কি না,আদেশ রোববার

আদালত প্রতিবেদক: প্রথম ধাপের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে এবং পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে।

আগামী রোববার (১৭ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে আদেশ দিতে দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। ওইদিন এ রিটের একটি সাপ্লিমেন্টারী জমা দিতে হবে। বিষয়টি জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পরে আদালত থেকে বেরিয়ে আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, প্রাথমিকের এই নিয়োগ পরীক্ষায় অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। এটি বাতিল চেয়ে আমরা রিট করেছি। আজকে তার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী রোববার ফর অর্ডারের জন্য রাখা হয়েছে।

বরিশাল বিভাগের পরীক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার সাথী ১৮৫ জনের পক্ষে গত ১২ ডিসেম্বর রিটটি দায়ের করেন।

এর আগে, গত ৮ ডিসেম্বর প্রাথমিকের প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা হয়। এই ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলার পরীক্ষার্থীরা অংশ নেয়। প্রথম ধাপের পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন চাকরিপ্রত্যাশী। এতে অনেকে অনুপস্থিত থাকেন।

এরইমধ্যে পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের মধ্যে রংপুর বিভাগের ৯৬ জন ও বরিশাল বিভাগের ২৮ জন। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে, প্রথম ধাপের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গত সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে দেড় শতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানান, চলমান হরতাল-অবরোধে পরীক্ষা গ্রহণ, বৈরী আবহাওয়ার কারণে দূরপাল্লার গাড়ি না পাওয়া, প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস না পাওয়া, প্রবেশপত্রের কারণে হলে প্রবেশ করতে না পারা ও পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রশ্ন বাইরে চলে যাওয়াসহ নানা ঘটনা ঘটেছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।

সেদিন মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেওয়া ফাতেমা আক্তার পরীক্ষা বাতিলের জন্য রিট করার কথা বলেছিলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন, কয়েক দফা পিছিয়ে হরতাল-অবরোধের মধ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। অথচ একই কারণে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। সমন্বিত ৭ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষাও পেছানো হয়। আবার পরীক্ষায় প্রক্সিসহ ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। এজন্য আমরা আইনগতভাবে এ পরীক্ষা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে রিট করব।

এর একদিন পরই ১৮ জেলার পরীক্ষা বাতিল ও নিয়োগ পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নিয়োগপ্রত্যাশী ফাতেমা আক্তার সাথী।

১২ ডিসেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিট করা হয়। রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কমিশনারসহ ১৩ জনকে বিবাদী করা হয়।

রিটের পক্ষের আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর প্রাথমিকের প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা হয়। এই ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে হরতাল-অবরোধ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তিন বিভাগের ১ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এছাড়া পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতি হয়েছে। এ কারণে গত ৮ ডিসেম্বর গ্রহণ করা পরীক্ষা বাতিল করে নির্বাচনের পর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে রিট করা হয়েছে। পাশাপাশি এই তিন বিভাগের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের সকল কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

এছাড়াও

শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে যৌনদাসের ব্যবসা, আয় শতকোটি

শেষবার্তা ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণীদের টার্গেট করে আকর্ষণীয় বেতন চাকরি, ট্যালেন্ট হান্টিং ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *