শেষবার্তা ডেস্ক : আমাদের সবার সম্মিলিত সামগ্রিকভাবে কাজ করতে হবে নাশকতা সহিংসতা দূর করতে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক, তেলের লরি ও যাত্রীবাহি বাস রয়েছে সে খানে অ্যাসপেশাল এস্কর্ট প্রদানের মাধ্যমে নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে র্যাব।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, এভাবে আমরা ৪০ হাজারের অধিক পরিবহন গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিয়েছে র্যাব। এ ক্ষেত্রে মহাসড়কে চলাচল করা যাত্রীবাহি বাস আগে সবচেয়ে বেশি নাশকতার মধ্যে পরত। লং রুটের যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকে নাশকতা বেশি হত, এটা অনেকটা কমে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবশ্যই দায়িত্ব পালন করছে, পাশাপাশি সবাই সতর্কতার সাথে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক চালাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেসব রাস্তার পাশে থাকা বা অনিরাপদ স্থানের বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা বেশি ঘটছে।
পরিবহন মালিকদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের (পরিবহন মালিকদের) যদি আমাদের সহায়তা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে, সেক্ষেত্রে তারা নিতে পারেন। যখন বাসগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকছে না, তখন তাদের সিকিউরিটি ও আমাদের সিকিউরিটিসহ রাখতে পারে। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের দুর্ঘটনা বা নাশকতা অনেকটাই কমে আসবে।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন র্যাব-৩ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি ব্যাটালিয়ন বিস্ফোরক তৈরি করার মত অনেক বস্তু উদ্ধার করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। বড় ধরনের নাশকতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নাশকতা নির্মূল করতে গেলে আমাদের সবার সহযোগিতা লাগবে।