Related Articles
নিজস্ব প্রতিনিধি : কুমিল্লার দেবিদ্বার এলাকায় টাকার লোভে বন্ধু শাজাহানকে নৃশংসভাবে হত্যার ১৬ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. ইসমাইলকে (৪২) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩। তিনি কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার নীত্ততলা গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়ার (বাবুর্চি) ছেলে।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে এ বিষয় নিশ্চিত করেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর ডেমরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইসমাইলকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২০০৬ সালে কুমিল্লার দেবিদ্বার থানাধীন এলাকায় ভুক্তভোগী শাজাহান রিকশা কেনার জন্য বাড়ি থেকে চার হাজার টাকা নিয়ে বের হন। তিনি রিকশা কিনতে বন্ধু কবির এবং শাজাহানকে সঙ্গে নিয়ে যান।
তখন ইসমাইল কৌশলে কবিরকে অন্য একটি স্থানে পাঠিয়ে দেন। এরই সুযোগে রিকশা কিনতে যাওয়ার পথে ইসমাইল ইট দিয়ে শাজাহানের মাথায় আঘাত করেন। এতে শাজাহান অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার কাছ থেকে টাকা লুট করে পালিয়ে যান ইসমাইল।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আরও জানিয়েছে, শাজাহান বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবার খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ভুক্তভোগীর স্ত্রী আমেনা বেগম অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে মো. কবির এবং ইসমাইলকে আসামি করে আদালতে একটি চার্জশিট দাখিল করে তদন্ত কর্মকর্তা। পরে কবির এবং ইসমাইল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হন। কিছুদিন পর জামিনে মুক্ত হয়ে কবির নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে থাকেন এবং ইসমাইল হাজিরা না দিয়ে পলাতক ছিলেন।
পরে মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২২ সালে (১৬ বছর) আসামি ইসমাইলের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। আর অপর আসামি কবির নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়।
গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।