Saturday , July 27 2024
Breaking News

তিন বছর পরেই আমরা উন্নত মধ্যম আয়ের উন্নিত হবো : বাণিজ্য মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেন, মাত্র এক সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমি কাতারে ছিলাম, যেখানে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অঞ্চল সম্মেলনটা হলো। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আছি। তবে এবারই আমাদের শেষ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলনে যোগ দেওয়া। আমরা আর স্বল্পোন্নত দেশে থাকছি না, আমরা উন্নত মধ্যম আয়ের দেশে গ্রাজুয়েটেড হতে চলেছে। আর মাত্র তিন বছর, ২০২৬ সালে আমরা গ্রাজুয়েটেড হয়ে যাব।

বুধবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হল অব ফেম-এ জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

টিপু মুন্সি বলেন, ভোক্তা অধিকার দিবসে আমাদের অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে যদি আমরা ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে মানুষকে জানাতে পারে। ভোক্তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে পারি। আমরা সবাই জানি ২০০৯ সালে এই আইন পাশ হয়েছে। ২০১০ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই অধিদপ্তরে কাজ শুরু করে। গত এক যুগে আমরা যতটুকু এগিয়েছি, সেটা এখনো পরিপূর্ণ নয়। আমাদের লোকবল কম। আমরা খুব করে চেষ্টা করছি, যাতে এটা মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে চলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর যে বাংলাদেশটা স্বপ্ন দেখেছিলেন, তৈরি করতে চেয়েছিলেন সেই বাংলাদেশটা তো বঙ্গবন্ধু তৈরি করতে পারলেন না। তাকে থামিয়ে দেওয়া হলো। তিনি সেই স্বপ্নটা বাস্তবায়নের জন্যই কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সুখী, সমৃদ্ধ, শিক্ষিত, ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানে মানে কাজ করছেন। আর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তিনি তার ঘুমটা হারাম করে ফেলেছেন। তিনি প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করে চলেছে।

রোজার মাসে ব্যবসায়ীদের সংযমী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীর মানুষ উৎসবের দিনগুলো, আনন্দের দিনগুলোতে মানুষকে সুযোগ দেয়। এটি দেওয়ার কারণ তারা যেন মানুষ যেন সাশ্রয়ী দামে জিনিসপত্র কিনতে পারে। আমাদের দেশে তার ব্যতিক্রম হয়। সামনে রমজান মাস আসছে। ধর্ম বলেছে সংযমী হতে, নিজেকে কন্ট্রোল করতে। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে একটাই কথা সেটি আবারও বলতে চাই, অন্তত এই মাসটাতে একটুখানি সংযমী হওয়া দরকার। আপনারা দয়া করে যেটি ন্যায্য হওয়া উচিত সেটাই করবেন। আমরা আপনাদের সারা দিন ধরে পাহারা দিয়ে রাখতে পারব না। তারপরও আমরা চেষ্টা করব। আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন দিয়ে গেলাম, আপনার যেটা ন্যায্য হয় সেটা করবেন।

ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। কোথাও দেখলেন একটি মোটরসাইকেল অর্ধেক দামে দেওয়া হচ্ছে। আর আপনারা সেখানে ঝাঁপ দিয়ে পড়লেন। মোটরসাইকেলের একটা ম্যানুফ্যাকচারিং কস্ট আছে, এটা আপনাদের বুঝতে হবে। একটা মোটরসাইকেলের কস্ট যদি এক লাখ টাকা হয়। আর সেলিং প্রাইস যদি ২০ হাজার টাকা হয় তাহলে সেটি ৬০ হাজার টাকায় কোথা থেকে দেবে। ওটা মানুষকে ফাঁদে ফেলার জন্য লোভ দেখাচ্ছে। ইন্ড অব দ্য ডে তারা মানুষকে ঠকাবে। আপনারা চটকদার বিজ্ঞপ্তি দেখে আকৃষ্ট হবেন না।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান প্রমুখ।

এছাড়াও

“অভিভাবকহীন সন্তানদের থেকে রাষ্ট্রও যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে”

সাঈদুর রহমান রিমন: বৈষম্যের মাধ্যমে সৃষ্ট বঞ্চনা, নিপীড়নের ‘কোটা বিরোধী’ যৌক্তিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমেছে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *