ডেস্ক সংবাদ :
মাঠের বিচ্ছিন্ন ঘটনার পাশাপাশি, ডিআরএস নিয়েই এখনও পর্যন্ত আলোচনা-সমালোচনার তুঙ্গে আছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। বিতর্ককে সঙ্গী করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটি। কেবল বিতর্ক নয়, ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এবারের বিপিএল বেশ উপভোগ্যই হচ্ছে দর্শকদের কাছে। ঠিক এমন সময় বিপিএল ঘিরে ফিক্সিং ইস্যু ঘুরপাক খাচ্ছে। সবচেয়ে বড় বিষয়, ফিক্সিং ইস্যুতে নাম উঠে আসছে টুর্নামেন্টের সফল দল মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্সের।
এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে চার ম্যাচ খেলতে নেমে চারটিতেই জয় তুলে নিয়েছে সিলেট। দলটিকে ঘিরে ফিক্সিংয়ের যে ইস্যু উঠে এসেছে, সেটি অবশ্য এখন পর্যন্ত দুর্ভাবনার বিষয় নয় বিসিবি বা বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। মূলত, এই দলের একজনের কাছে এসেছে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব।
তিনিও অবশ্য ইতোমধ্যে বিসিবির অ্যান্টি করাপশান ইউনিটকে এই বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়াও একাধিক দলের কর্মকর্তাদের কাছেও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গেছে বলে শোনা গেছে। তবে বিসিবি এসব নিয়ে এখন পর্যন্ত উদ্বিগ্ন নয়। বরং বোর্ডের আওতাধীন এসিইউ ফিক্সিং ঠেকাতে নিবিড়ভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন, বিসিবি এবং বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
এই পরিচালক বিপিএলে ফিক্সিং ইস্যুতে গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘আসলে এটা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু হয়নি। সিলেট স্ট্রাইকার্স মৌখিকভাবে আমাদের অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। এটা রিপোর্টেড কিছু নয়। প্রতি দুই-তিন খেলা পরপর দুই-একটা করে আমরা রিপোর্ট পাই। ওগুলো সিরিয়াস কিছু নয়।
এমন রিপোর্ট পেলে অ্যান্টি করাপশন তখন নজরদারি বাড়ায়। সত্যিকার অর্থেই প্রস্তাব এলে তখন অ্যান্টি করাপশন ইউনিট নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি এটা নিয়ে তদন্ত করে। তো এখানে এমন কিছু হয়নি। আর এটা যদি ক্লাসিফাইড ইনফরমেশন হয়, পুরো তদন্ত শেষ না করে অ্যান্টি করাপশন আমাদের কিছু বলবে না।