স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, জামালগঞ্জ সদর থেকে সরাসরি সুনামগঞ্জ জেলা সদর, সিলেটসহ দেশের অন্য অঞ্চলে যেতে হলে জামালগঞ্জ উপজেলার মানুষ সদর উপজেলা কাঠইর হয়ে মদনপুর এসে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়ক ধরে যাতায়াত করেন। কাঠইর থেকে জামালগঞ্জের দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার। এ সড়কে সাত বছর আগে কাজ হয়েছিল। এরপর বিভিন্ন সময়ে কিছু সংস্কার হলেও বড় ধরনের কাজ হয়নি।
সর্বশেষ গত জুনের বন্যায় সড়কটি একেবারে বেহাল হয়ে যায়। সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ-ঢালাই উঠে গেছে। কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। কোনো কোনো স্থানে সেতুর সংযোগ সড়কের মাটি ধসে গেছে। ভাঙাচোরা সড়কে যানবাহন চলে হেলেদুলে। আগে যেখানে এ সড়ক ধরে জামালগঞ্জ থেকে ৩০-৪০ মিনিটে কাঠইর আসা যেত, এখন এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাগে।
সড়কের শাখাইতি, জয়ননগর বাজার, নোয়াগাঁও, মোহনপুর এলাকায় সড়ক ভাঙাচোরা বেশি। সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হওয়া গর্তে পানি জমে মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে রোগী পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হয় বেশি। সড়কের চণ্ডীটিয়র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের অংশ, পাশের সেতুর পূর্ব এবং পশ্চিমাংশ, নারিকিলা পয়েন্টের পূর্বাংশ, শাখাইতি-হুসেননগর এলাকায় রাস্তার অবস্থা বেহাল।
হুসেননগরের সেতু থেকে জয়নগর বাজার, সর্দারপুর পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কজুড়ে খানাখন্দ ও অসংখ্য গর্ত। এখানে বন্যার আগে কিছু সংস্কারকাজ হয়েছিল। বন্যার পানিতে সব ধুয়ে নিয়ে গেছে। বন্যার পর আর কোনো কাজ হয়নি। এ সড়ক দিয়ে শুধু জামালগঞ্জ উপজেলার মানুষ নয়, সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম এবং ধর্মপাশা উপজেলার মানুষজনও জামালগঞ্জ হয়ে জেলা সদর ও সিলেটে যাতায়াত করেন।
সড়কটি সংস্কারের দাবিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর এলাকার জয়নগর বাজারে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ মানববন্ধন হয়। সংগঠনের জেলা কমিটির সহসভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এ রকম বেহাল সড়ক উপজেলায় আর নেই। শুধু আশ্বাসই পাচ্ছি। কাজ হচ্ছে না।কাঠইর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শামসুল ইসলাম বলেন, ‘কাঠইর-জামালগঞ্জ সড়কের পুরোটাই ভাঙাচোরা, বেহাল।
সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম বলেন, এ সড়কের বিভিন্ন সময় নিয়মিত কিছু সংস্কারকাজ হয়েছে। বন্যার আগেও কিছু কাজ হয়েছিল, কিন্তু টেকেনি। এবারের বন্যায় সড়কটির বেশি ক্ষতি হয়েছে।