Saturday , July 27 2024
Breaking News

ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধে ও বিশ্ব ফুসফুস দিবস

ফুসফুস বিষয়ে সচেতনতার লক্ষ্যে গত ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০২২ বিশ্ব ফুসফুস দিবস পালিত হয়ে গেল। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি  খুব গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল সবার জন্য ফুসফুসের স্বাস্থ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার মতে, আমাদের দেশের মোট জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত। দেশের প্রায় এক কোটির বেশি মানুষ অ্যাজমা রোগে ভুগছেন এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ যক্ষা রোগে  আক্রান্ত ২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এ ছাড়া আমাদের দেশে বর্তমানে শুধুমাত্র ধূমপানজনিত কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

এ ছাড়া ফুসফুসজনিত রোগ অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট বায়ুদূষণের প্রভাবই সবচেয়ে বেশি। দূষিত বায়ুর সঙ্গে নানা ধরনের বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা আক্রান্ত করে। বর্তমানে  শুধু রাস্তাঘাটেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নয়, বরং এর চেয়েও বেশি খারাপ অবস্থা আবদ্ধ পরিবেশের ফ্ল্যাট, বাসাবাড়ি কিংবা কর্মস্থলে। দেখা যাচ্ছে বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা পেতে ঘরবাড়ি-কর্মক্ষেত্রে দরজা-জানালা বন্ধ রেখে গুমোটভাবে  আমরা বসবাস করছি।  ফলে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের  সুযোগ না থাকায় দিনের শ্বাসতন্ত্রের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।

দেশে ফুসফুসের রোগের মধ্যে বিপজ্জনক হচ্ছে সিওপিডি, অ্যাজমা, যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, আইলএলডি ও লাঞ্চ ক্যানসার। আর ফুসফুসের রোগের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বায়ুদূষণ, ধূমপান, অতিরিক্ত ঘনবসতি, দারিদ্র্য ও অসচেতনতা। এসব কারণেই দেশে এখন চল্লিশোর্ধ্ব বয়সী মানুষের ২১ শতাংশই ভুগছে সিওপিডিতে, যাদের ৬২ শতাংশ ধূমপায়ী। বিপজ্জনক এই রোগ থেকে বাঁচাতে সচেতনতার বিকল্প নেই। ফুসফুস ভালো রাখার শরীরের সুস্থতায় ঘুমের বিকল্প নেই।সময়মতো ঘুমাতে যাওয়া এবং তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করুন। ভোরবেলায় বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকে। এই সময়ের বাতাস ফুসফুসের জন্য উপকারী। নিয়মিত সকালে হাঁটলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।  ফুসফুস ভালো রাখতে, ফুসফুসের ক্যান্সার  ও জোর বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম করার সময় জোরে শ্বাস নিতে হবে আর ধীরে ছাড়তে হবে। এতে দেহের পেশি শক্তি বৃদ্ধি পায়। ধূমপান ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করে। ধূমপান পরিত্যাগ করতে হবে।  ফুসফুস ও ফুসফুস ক্যান্সার থেকে সুস্থ রাখতে শাকসবজি, ফল ও মাছ, বিশেষ করে টকজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। লেবু, কমলা, মাল্টা, বাতাবি লেবু, আমড়া, বরই জাতীয় টকফল ফুসফুসের জন্য উপকারী। ফুসফুসে প্রতিনিয়ত যে ক্ষয় হয়, সে জন্য ভিটামিন সি, ডি এবং জিঙ্কযুক্ত খাবার খাওয়া খুব জরুরি।

 

লেখক: মাহমুদুল হাসান সরদার

হোমিও ক্যান্সার চিকিৎসক ও গবেষক,  সরদার হোমিও হল ৬১/সি, আসাদ এভিনিউ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। সেল: ০১৭৩৭-৩৭৯৫৩৪

এছাড়াও

শীতের আগেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্ন

শেষবার্তা ডেস্ক : শীতের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। যদিও এখন হেমন্ত কাল। সময়ের আগে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *