Saturday , July 27 2024
Breaking News

শরীরে কী হতে পারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খেলে ?

শেষ বার্তা ডেস্ক : মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিষের সমান বেশির ভাগ মানুষই মনে করেন । মেয়াদ পার হলে এর কোনো কার্যকরী ক্ষমতা থাকে না। উল্টো বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে এই ধারণাটি পুরোপুরি সঠিক নয়। সবার আগে ওষুধের মেয়াদ শেষ হওয়ার অর্থ কী তা জানা জরুরি। ওষুধের প্যাকেটের গায়ে দুটি তারিখ লেখা থাকে। প্রথমটি হলো উৎপাদনের তারিখ, দ্বিতীয়টি হলো মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ।

মার্কিন চিকিৎসা সংস্থা এএমএ ২০০১ সালে একটি গবেষণা পরিচালনা করে। ২২টি ভিন্ন ওষুধের ৩০০০ ব্যাচ নেওয়া হয়। সেগুলো পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, বেশিরভাগ ওষুধের কাজ করার ক্ষমতা তাদের ওপর মুদ্রিত মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের চেয়ে অনেক বেশি। ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এএমএ প্রায় ৮৮ শতাংশ ওষুধের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও প্রায় ৬৬ মাস বাড়িয়ে দেয়। যে ওষুধগুলোর মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ এএমএ দ্বারা বাড়ানো হয়েছিল তার মধ্যে রয়েছে- অ্যামক্সিসিলিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, মরফিন সালফেট ইত্যাদি। তবে ১৮ শতাংশ ওষুধের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ফেলে দেওয়া হয়।

মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ওষুধ খাওয়া যাবে কিনা

এ বিষয়ে খুব বেশি তথ্য নেই। তবে জানা গেছে, কোনো ওষুধ যদি ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল আকারে হয়, তাহলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও এর ক্ষমতা আরও অনেক দিন থাকবে। কিন্তু সিরাপ, চোখের ড্রপ এবং ইনজেকশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ব্যবহার করা উচিত নয়।

এদিকে মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রস্তাবিত কিছু ওষুধ রয়েছে, যা মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ব্যবহার করা যাবে না। এগুলো হচ্ছে- ডায়াবেটিস রোগীদের ওষুধ। সেগুলো মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নষ্ট হতে শুরু করে।

এছাড়া, হৃদরোগীদের ওষুধও খোলার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত এর কার্যকারিতা হারায়। রক্ত, ভ্যাকসিনের মতো ওষুধগুলো নির্ধারিত সময়ের পর ব্যবহার করা উচিত নয়।

এছাড়াও

শীতের আগেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্ন

শেষবার্তা ডেস্ক : শীতের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। যদিও এখন হেমন্ত কাল। সময়ের আগে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *