মোঃ সোলায়মান,ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের পূরবী সিনেমা হলের সামনে থেকে পোশাক শ্রমিকদের ওপর হামলা ও বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সড়ক থেকে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। গত তিন দিন পল্লবী এলাকায় আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকদের কিছুই বলেনি পুলিশ। তবে আজকে সড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ লাঠি ও জলকামান এনে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করলেও কোন হতাহতের ঘটনা দেখা যায়নি। এসময় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ, কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেডে মারা হয়।
প্রধান সড়ক ও অলিগলি থেকে গারমেন্টস শ্রমিক- উৎসাহী জনতাকে সরিয়ে দেয় স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা। পুলিশ দেখে জয় বাংলা স্লোগান দিতে ও দেখা গেছে তাদের। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শ্রমিকদের কালশী, ১২ নাম্বার ও ৬ নাম্বারের দিকে যেতে দেখা গেছে৷ ১২ টা থেকে পূরবী সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকরা সকাল ৮ টা থেকে পূরবীর সড়ক আটকে বিক্ষোভ করে ইপিলিয়ান, অ্যাপোলো নিটওয়্যার ও স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। তবে সাড়ে ১১ টা থেকে ১২টার দিকে শ্রমিকদের সরিয়ে সড়কে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এছাড়াও পূরবী সিনেমা হলের সামনে ব্যাপক পুলিশ সদস্য মোতায়ন রয়েছে। বিজিবি ও র্যাবের গাড়িকে টহল দিতে দেখা গেছে।
এর আগে সকালে মিরপুর ১০ নাম্বারে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ হয়। বেলা ১১ টার পর ১০ নাম্বার থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে শুরু করে পুলিশ। সাড়ে ১১ টার পরে পূরবী থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
মিরপুর জোনের পুলিশের সহকারী কমিশনার হাসান মোহাম্মদ মুহতারিন বলেন, শ্রমিকরা কাফরুল ও পল্লবী থানার ওসির ওপর হামলা চালায়। এতে তারা আহত হন। আমরা তারপর এ্যাকশনে যাই।
মিরপুর মডেল থানা ওসি মহসিন বলেন, সকালে মিরপুর ১০ নাম্বারে আমাদের উপর হামলা চালায় শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। তাদের বুঝিয়ে সরাতে গেলে আবারও পুলিশের উপর হামলা হয়। পুলিশ বসে ছিল সেই পুলিশের উপর হামলা করা হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে তাদের উদ্দেশ্য অন্য কিছু আমরা তাদের মেইন রোড থেকে সরিয়ে দিয়েছি। যাতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল ফিরোজ বলেন, শ্রমিকেরা মিরপুরে বিআরটিসির ডিপোতে ঢুকে বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর করেছে। আন্দোলনকারী পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে অবরোধকারীরা থাকতে পারে বলে তাঁদের সন্দেহ। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।