নিজস্ব প্রতিনিধি :
আগামী ২৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ দেশের সব মহানগর ও জেলা সদরে সরকারের হটানোর যুগপৎ আন্দোলনে ১০ দফা ঘোষণা করে গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর গোলাপবাগে শনিবার বিকেলে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এদিকে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ২০ দলীয় জোটের শরিক ১১টি দল। ২৪ ডিসেম্বর বিএনপি ঘোষিত গণমিছিলে এই দলগুলো যৌথভাবে অংশগ্রহণ করবে। আজ বিকেলে এক যৌথ বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ থেকে ১০ দফা মুক্তির সনদ ঘোষিত হয়েছে। আমরা অবিলম্বে বিএনপির ১০ দফা মেনে নিয়ে দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিদাতারা হলেন—কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপার খন্দকার লুৎফুর রহমান, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আব্দুর রকিব, এনডিপির কারি আবু তাহের, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, বিএমএলের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জমিয়তের মহিউদ্দিন ইকরাম এবং সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
এদিকে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে মাঠে থাকবে জামায়াতে ইসলামীও। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের ন্যায্য অধিকার ফেরাতে দলের ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওইদিন ঢাকাসহ দেশের বিভাগীয় শহর ও জেলায় জেলায় গণমিছিলের কর্মসূচি পালন করবে।
আজ রাজধানীর একটি স্থানীয় মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে আরও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে ইনশাআল্লাহ। রাতে জামায়াতের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফার সঙ্গে জামায়াতের ১০ দফার কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে সম্মত গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক ৭টি দল ও সংগঠনও। তবে আন্দোলন শুরুর আগে রাষ্ট্রের সার্বিক সংস্কার বিষয়ে বিএনপির কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার চান তারা।