রংপুর প্রতিনিধি :
রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে লালমনিরহাট থেকে সাইকেলেই যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন নেতাকর্মীরা। আগের দিন থেকে দুদিনের পরিবহন ধর্মঘট ডাকায় বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৫ হাজার সাইকেল।এর মধ্যে অনেকে চলেও গেছেন রংপুর।এ ছাড়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যান, গরুর গাড়ি ও হেঁটেও যাওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে নেতাকর্মীদের।
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির নেতারা জানান, দুটি পয়েন্ট থেকে তারা রংপুরের উদ্দেশে রওনা হবেন। লালমনিরহাট পৌর ও সদর উপজেলা ইউনিটের নেতাকর্মীরা রওনা দেবেন বড়বাড়ী শিমুলতলা শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় থেকে। আর আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম পৌরসভা ও পাটগ্রাম উপজেলা ইউনিটের নেতাকর্মীরা রওনা দেবেন কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা থেকে। মহিপুরে তিস্তা সেতু হয়ে রংপুরের সমাবেশস্থলে তারা যোগ দেবেন।
নেতাকর্মীরা বলেন, রংপুরের আগের তিন বিভাগে গণসমাবেশের সময় বিএনপিকে পরিবহন ধর্মঘটসহ নানা ধরনের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। রংপুরেও এমন আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তাই সমাবেশ সফল করতে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন তারা। সবকিছু ছাপিয়ে সমাবেশ সফল করা হবে। কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের বিএনপি কর্মী হামিদুল ইসলাম বলেন, অংপুরের সমাবেশোত যাবার জন্য হামার ইউনিয়ন থাকি ৫০০ সাইকেল এডি (প্রস্তুত) করছি। সাইকেল ছাড়াও হামার এ্যাটে (এখান) থাকি ভ্যান, রিকশা, অটো, কায়য়ো (কেউ) ফির হাঁটি যাইবে অংপুর।
সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী এরশাদুল হোসেন বলেন, হামরা আইজকা (আজকে) আইতোত (রাতে) অংপুর (রংপুর) যামো (যাব)। জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি; ভোলা, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও যশোরে পাঁচ নেতাকর্মী নিহত এবং সারা দেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে প্রতিটি বিভাগে সমাবেশ করছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে খুলনাতে ২৯ অক্টোবর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে গণসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।
গণসমাবেশের দুদিন আগে বৃহস্পতিবার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা মোটর মালিক সমিতি। অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে আজ শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এ ধর্মঘট। আদিতমারী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘সরকারি দলের পক্ষ থেকে বাধা আসবেই, এমনটি ধরে নিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবীব দুলুর নির্দেশে আমরা প্রস্তুত আছি। যে কোনো উপায়ে আমরা রংপুরে ঢুকবই।’
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, ‘স্মরণকালের সব রেকর্ড ছাপিয়ে রংপুরের গণসমাবেশে মানুষ আসবে। এর আগের সমাবেশগুলোতে সাধারণ মানুষ তাদের দাবি আদায়ের জন্য যোগ দিয়েছিল। এসব সমাবেশে কোনো বাধাই দেয়াল হয়ে দাঁড়াতে পারেনি, রংপুরের সমাবেশেও পারবে না। শনিবারের সমাবেশে রংপুরের অলিগলি জনস্রোতে ভরে উঠবে।