আদালত প্রতিনিধি : ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় জামিন পেয়েছেন । বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেন শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে হওয়া মোট সাত মামলাতেই জামিন পেলেন খালেদ।
এদিন আসামি খালেদের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ বিষয়ে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। তবে খালেদের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হয়, তিনি অসুস্থ। এর সপক্ষে চিকিৎসা সনদ অদালতে জমা দেওয়া হয়। আদালত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন সন্ধ্যায় দুদক আইনে করা মামলায় ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত থেকে জামিন পান খালেদ। সন্ধ্যায়ই জামিনের কাগজ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আসে। এরপর তাকে কারা হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। রাত ১০টার দিকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। কিছুদিন আগে চিকিৎসার জন্য কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে বিএসএমএমইউতে আনা হয়েছিল।
খালেদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক। গত ২২ আগস্ট সম্রাটও জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। দুজনেই ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরে ৫৯ নম্বর সড়কের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এরপর খালেদের বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ, মানি লন্ডারিং, অস্ত্র, মাদক আইন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ মোট সাতটি মামলা হয়। এর মধ্যে ছয়টি মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে, চারটির অভিযোগ গঠন হয়েছে।
তবে মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলার তদন্ত এখনো শেষ করতে পারেনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।