শেষ বার্তা ডেস্ক : বাংলাদেশের বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-ডিএসএ পরিবর্তন করে তার জায়গায় ভিন্ন একটি আইন আনার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। এই নতুন আইনটির নামকরণ করা হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় পরিবর্তন এনে এই আইনটি করা হচ্ছে।
নতুন আইনে মোট ধারা ৬০টি। এটি আগামী সেপ্টেম্বরে সংসদে বিল আকারে পাসের জন্য উত্থাপন করা হবে। সেখানে এটি অনুমোদিত হবে বলেও আশার কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
নতুন এই আইনের বিষয়ে অনুমোদনের পর ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধ করার জন্য এই আইনের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের একটা কথা ছিল, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট থাকলে একটা মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হয়। সেটাকেও আমরা ধর্তব্যের মধ্যে নিয়েছি এবং সেই কারণে এই পরিবর্তনগুলো আনা হয়েছে।
এর ফলে সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধ হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি আশা করছি অবশ্যই হবে।
তবে আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের যে খবর জানা গিয়েছিল সেটি সত্য নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পরিবর্তন করা হয়েছে(ডিএসএ), বাতিল করা হয়নি। নামটা নতুন করে দেয়া হয়েছে, কিছু ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে।
তিনি বলেন,পরিবর্তনটা এতটাই করা হয়েছে, সেখানে যাতে কোন দ্বিধা তৈরি না হয়, সেজন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নাম রহিত করে তার পরিবর্তে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছে। ব্যাপারটা হচ্ছে, আইনের পরিবর্তন আনা হয়েছে, নামে পরিবর্তন আনা হয়েছে, অনেক জায়গায় সাজার পরিমাণ বেশি ছিল, সেটা কমানো হয়েছে, যেখানে উপধারা দিয়ে পুনরায় অপরাধ করলে সাজা ডবল হয়ে যেতো, সেটা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা হয়েছে। কোন সংশয় যাতে তৈরি না হয়, সেই কারণে রহিতকরণ ও হেফাজত করণের বিধান রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন করছি।
তবে ডিএসএ-এর অধীনে যেসব মামলা করা হয়েছিল সেগুলো চলবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। কিন্তু মামলার কার্যক্রম সাইবার নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী হবে।