আদালত প্রতিবেদক : দেশের শীর্ষস্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ আজ রোববার এ আদেশ দেন।
মাদক কারবারের মাধ্যমে অর্থ পাচার-সংক্রান্ত এক রিটের শুনানিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মাদকের কারণে দেশ থেকে প্রতিবছর পাচার হয়ে যায় আনুমানিক ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। মাদক বেচাকেনার মাধ্যমে অর্থ পাচারের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। আর এশিয়ায় শীর্ষে।
গত সপ্তাহে অনুমানভিত্তিক এ হিসাব প্রকাশ করে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাড। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৫ বছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে অবৈধ অর্থপ্রবাহের এই চিত্র তুলে ধরে সংস্থাটি।এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস।
রিটকারী আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, রোববার দুপুরে শুনানিতে এক মাসের মধ্যে মাদক কারবারিদের নাম, ঠিকানা জমা দিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মাদক কারবারের মাধ্যমে অর্থ পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুদক, বিএফআইইউ, সিআইডি, এনবিআর ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে অর্থ পাচারের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন হাইকোর্ট।