Thursday , September 18 2025
Breaking News
ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন

শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আদালত প্রতিনিধি : ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায়  গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল গত ১৯ অক্টোবর এ আদেশ দিলেও বিষয়টি বুধবার (২৬ অক্টোবর) নিশ্চিত করেন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন।

তিনি বলেন, ১৯ অক্টোবর মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ দিন শামীমা আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ২২ জানুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানান ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী।

ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন নামে এক গ্রাহক ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী ২০২০ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইভ্যালি সম্পর্কে জানতে পারেন।

সেখানে কম দামে ইলেক্ট্রনিকস পণ্যসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়েজনীয় জিনিসের অফার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাজারদরের থেকে প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ইভ্যালি অ্যাপের মাধ্যমে দুটি মোবাইল নম্বর দিয়ে দুটি অ্যাকাউন্ট খোলেন বাদী। তিনি নিজের আইডি দিয়ে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন।

বন্ধুর নামে আরেকটি আইডি খুলে ২৩ লাখ টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। এই দুই আইডি দিয়ে মোট ২৮ লাখ টাকার অর্ডার করেন বাদী। এই টাকা পরে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ, নগদ, ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেওয়া হয়। এজাহারে আরও বলা হয়, অর্ডার করা পণ্যগুলো নির্ধারিত ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা ছিল ইভ্যালির।

কিন্তু ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও পণ্যগুলো বুঝে পাননি মামলার বাদী। এ বিষয়ে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করে। মামলার বাদী আলমগীর হোসেন তার ২৮ লাখ টাকার বেশি অর্ডার করা পণ্য বুঝে পাননি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এরপর এ মামলার তদন্ত শেষে চলতি বছরের (২০২২ সাল) ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার। বর্তমানে রাসেল কারাগারে রয়েছেন। আর তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন ৬ এপ্রিল জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বের হন। এবার তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক।

এছাড়াও

সারাদেশের মহাসড়কের হাট-বাজার, স্থাপনা অপসারণে হাইকোর্টের রুল

আদালত প্রতিনিধি: জনসাধারণের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সারাদেশের মহাসড়কে থাকা স্থাপনা হাটবাজার, ভটভটি, নসিমন-করিমন জাতীয় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *