আর্ন্তজাতিক বার্তা ডেস্ক :
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ও মিত্রদের রাজনৈতিক শিকারে পরিণত করায় ক্ষমতাসীন জোট সরকারের বিরুদ্ধে আগামী বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে ‘জেল ভরো’ তথা স্বেচ্ছায় কারাবরণ আন্দোলন শুরু করতে যাচ্ছেন ইমরান খান। লাহোর থেকে এই আন্দোলন শুরু হবে। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জামান পার্কে নিজ বাসভবনের সামনে জড়ো হওয়া সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন তিনি।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ করার মামলায় ইমরান খান তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বাড়াতে লাহোর হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার আদালত সে আবেদন খারিজ করে দেন। ইমরান খানের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর তার সমর্থকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। তারা আশঙ্কা করেন, পিটিআই নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে। গ্রেফতার ঠেকাতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নারী-শিশুসহ পিটিআই সমর্থকরা জামান পার্কে ইমরানের বাড়ির সামনে অবস্থান নেন।
গতকাল সমর্থকদের উদ্দেশে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন ইমরান খান। পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইমরান খান বলেন, আমরা জেল ভরে ফেলব, তারা (কর্তৃপক্ষ) লুকানোর জন্য জায়গা খুঁজে পাবে না। কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা পূরণ করার শপথ নিয়ে ইমরান বলেন, জেলে ভরার হুমকি দিয়ে তারা আমাদের দাস করে রাখতে চায়। মুলতানে পিটিআই কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ হুমকি-ধমকি দিচ্ছে উল্লেখ করে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ যদি এমন কাজ করে, তাহলে কি মানুষ তাদের ঘৃণা করবে না। ইমরানের অভিযোগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পিটিআইয়ের ঘোর বিরোধী।
পিটিআই নেতা মুসারাত জামশাইদ চিমা বলেন, সরকার যদি পিটিআই নেতাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে, তবে গোটা জাতি রাস্তায় নামবে। তিনি বলেন, ইমরান খানের বাড়ির সামনে অবস্থান নেওয়া সব নারী নিরাপত্তার স্বার্থে হাতে লাঠি রেখেছিলেন। এসব নারী অপরাধী নন, তারা সম্ভ্রান্ত পরিবারের। তিনি বলেন, ইমরান খানকে গ্রেফতার করা সহজ কাজ হবে না। কর্মীরা আরও বলেন, তারা ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে দেবেন না। তাকে গ্রেপ্তারের যেকোনো প্রচেষ্টা তারা রুখে দেবেন। পিটিআই কর্মীরা আরও বলেন, তারা ওই জায়গা থেকে সরবেন না। ইমরানের কাছে পৌঁছাতে হলে আগে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
সমর্থকেরা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন বাহিনীগুলোকে মোকাবিলার শিক্ষা তারা ইমরান খানের কাছ থেকে পেয়েছেন। তারা বলেছেন, পিডিএম জোট সরকার যদি ইমরানকে গ্রেপ্তার করতে চায়, তাহলে ভুল হবে। কারণ, তাকে বাঁচাতে লাখো মানুষ জড়ো হয়েছেন।