নিজস্ব প্রতিনিধি: পল্লবী থানা এলাকার ৪৪/১ সি, পলাশ নগর, বিএনপি নেতা বুলবুল মল্লিকের বাড়ী সংলগ্ন গরুর খামারের পিছনে গত রবিবার ভোর ৫টার দিকে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ১৩ বছর বয়সী এক অসহায় শিশু, যিনি স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন, সেহেরির পর বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ সময় তার মা কাজে চলে গেলে, বাড়ির ম্যানেজার কাম গাড়িচালক খোকন (পিতাঃ অজ্ঞাত) শিশু মেয়েটির সোবার ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
খোকন প্রথমে শিশু মেয়ের শরীরে হাত দেয় এবং বিছানার চাদর সরিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে স্পর্শ করার চেষ্টা করে। সজাগ হওয়ায় শিশুটি মুখ চেপে ধরে এবং মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে তাকে উত্তেজিত করার চেষ্টা চালায়। এতে মেয়েটির চিৎকারে খোকন দ্রুত পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর, ওই মেয়ের মা দুপুরে বাসায় ফিরে ঘটনার বিস্তারিত জানালে স্থানীয়রা খোকনকে আটক করে। বাড়ির মালিক সুমন স্থানীয়দের কাছে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য টাকা দিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করেন, যা স্থানীয়দের ক্ষোভের জন্ম দেয়। স্থানীয়রা সুমনের এই প্রচেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নজরুল ইসলাম ও পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মেয়েটি ও তার মায়ের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনে খোকনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
জানাগেছে, খোকন এর আগে এমন অপরাধে জড়িত হয়েছিল এবং বাড়ির মালিক সুমন অর্থের বিনিময়ে তার অপরাধ ধামাচাপা দিয়েছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে খোকনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এদিকে, স্থানীয়রা দাবি করছে, সুমন এবং খোকনের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত প্রয়োজন। তারা আশা করছেন, ঘটনার সঠিক বিচার হবে এবং ওই শিশু মেয়েটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
বাড়ীর মালিক সুমন বলেন, আমি একটা একটা লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানির দায়িত্বে রয়েছি, অনেক পুলিশ সাংবাদিকের সাথে আমার ওঠাবসা আছে।
বাড়ীর মালিক সুমন লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির নাম করে বহু মানুষের সাথে প্রতারণা করেছেন বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সুমন খোকনকে অনৈতিক কাজকর্মে সব ধরনের সহায়তা করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।