নিজস্ব প্রতিনিধি :
কখনো সাংবাদিক, কখনো আইনের সহায়ক, আবার কখনোবা রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন সিরাজুল ইসলাম। পেশায়-ফুটপাতে কাপড় বিক্রেতা। একসময় ফুটপাত থেকে হলেন দোকানদার। অথচ এখন রাতারাতি বনে গেলেন সাংবাদিক। নানা অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে ওঠেন নামধারী এই সাংবাদিক।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কিংবা ব্যক্তির কাছে দাবিকৃত চাঁদা না পেলে সংবাদ প্রকাশের হুমকিসহ বিভিন্নভাবে মানুষের সাথে প্রতারণা করে দাবড়ে বেড়াচ্ছেন উপজেলার এ প্রান্তর থেকে ওপ্রান্তর পর্যন্ত। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জয়দেবপুর উপজেলাবাসী। প্রশাসনের নাকের ডগায় একের পর এক অপরাধ করে বেড়াচ্ছেন।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের বিভিন্ন রিসোর্ট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাদাবির অভিযোগ রয়েছে। জয়দেবপুর থানার একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সোর্স হিসেবেও কাজ করে এই কথিত সাংবাদিক সিরাজ। নিজের কোন পত্রিকা না থাকলেও নামসর্বস্ব একটি ভুইপোড় অনলাইনের কার্ড কোমড়ে ঝুলিয়ে দিব্বি সাংবাদিকতার পরিচয় বহন করে চলেছেন।
উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তার অপ-সাংবাদিকতার কাছ থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
এসব ভুয়া সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা না নেয়া হলে সাংবাদিক সমাজ কলঙ্কিত হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করলেন সুশীল সমাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ভুয়া সাংবাদিক সিরাজের নেই কোন একাডেমিক সনদ। নিউজ সম্পর্কে নেই কোনো ধারণা। এরপরও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্নভাবে মানুষের সাথে প্রতারণা করতে থাকেন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক উপজেলার বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এই সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। স্থানীয় প্রশাসন এসব ভুয়া ও নামধারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া উচিত।