নাট্যদল এথিক মানেই চমক, নতুন নতুন সৃষ্টি, আর নাট্যপ্রেমীদের মন ও চেতনাকে জাগ্রত ও আলোড়িত করা একটি নাট্য সংগঠন। ঢাকার মঞ্চে বর্তমান সময়ে এথিক সত্যি সত্যিই নিজস্ব একটা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। এথিক বছরের বিভিন্ন সময় তার নতুন নতুন সৃষ্টিশীল কর্ম দ্বারা নাট্যাঙ্গনে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিচ্ছে।শোকের মাস আগস্ট মাস, এই মাসেই ১৫ই আগষ্ট বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে খুন হয়েছিলেন। দুঃসহ সেই দিনের স্মৃতি আর নেতার প্রতি সাধারণ মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসাকে ঘিরে বাংলাদেশের স্বনামধন্য লেখক ও সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন লিখেছেন “নেতা যে রাতে নিহত হলেন” গল্পটি। গল্পটির লেখা ১৯৯০ সালে। এই গল্পের নাট্যরূপ এবং নির্দেশনা দিয়েছেন আরেক প্রখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক রেজানুর রহমান।
এই নাটকটি এথিক নাট্যদলের ১২তম প্রযোজনা। আসলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির এক অফুরন্ত আবেগ ও ভালোবাসার নাম। এথিক নাট্যদলকে ধন্যবাদ এরকম একটি সুন্দর গল্পকে মঞ্চে রূপদান করার জন্য। এই গল্পের মূল চরিত্র রতন মাঝি। রতন অত্যন্ত সাদাসিধা একজন ভাগচাষী। নেতার প্রতি তার যে গভীর ভালোবাসা এই গল্পে তা দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। এই চরিত্রের অভিনেতা সুকর্ন হাসান। তিনি বাংলাদেশের একজন এওয়ার্ড প্রাপ্ত মঞ্চাভিনেতা। আশাকরি এই নটকেও তিনি ব্যাপক সাড়া ফেলবেন। আরেক জনের কথা না বললেই নয়, তিনি হলেন মিন্টু সরদার, পুলিশ অফিসার আসলামের চরিত্রটি করছেন তিনি। আশাকরি দলের এবং নিজের জন্য তিনিও সুনাম কুড়িয়ে আনবেন। এথিকের একজন গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি এই মিন্টু সরদার। অসাধারণ প্রতিভাধর, দলের সর্বক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য্য ।
১৫ই আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে শিল্পকলা একাডেমিতে সন্ধ্যা ৭:০০ টায় নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে। নতুন নাটক এবং এথিক নাট্যদলের সাফল্য কামনা করছি। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন-সুকর্ন হাসান, মিন্টু সরদার, তারেক চৌধুরী রিমন, মোঃ এসপি খান শাওন, রুবেল খান, মনি কানচন, রেজিনা আক্তার রুনি, মোঃ মনিরুল হক ঝলক, আজিম উদ্দীন, মাহফুজ আফনান আপ্সরা হাসন রিজভী।
জৈষ্ঠ্য প্রতিবেক-প্রদীপ কুমার বিশ্বাস