Related Articles
নিজস্ব প্রতিনিধি :
কথিত ম্যাগনেটিক কয়েন বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, মো. আব্দুল কাদের ওরফে কবির (৪৭) ও মহিউদ্দিন শিকদার(৩৪)। গতকাল (৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশান থানা নিকেতন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় প্রতারণায় ব্যবহৃত কথিত ৪টি ম্যাগনেটিক কয়েন, ৪ টি মোবাইল সেট, ১টি পিতলের বোতলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ( ৬ এপ্রিল) বিকেলে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রতারক চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ম্যাগনেটিক কয়েন বিক্রির নামে প্রতারনা করে আসছিল। সম্প্রতি গুলশানের এক ব্যবসায়ীর মোবাইলে ব্যবসায়ীক আলোচনার কথা বলে ডেকে আনে। এরপর ম্যাগনেটিক কয়েনের বিষয়ে বিভিন্ন ধারনা দিয়ে প্রতারক চক্রের সদস্যরা তাকে জানায়, এই কয়েন বিমান তৈরির কাচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং দেশে বা বিদেশে এর ব্যাপক চাহিদা আছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী এই বিষয়ে আগ্রহী না হওয়ায় চক্রের সদস্যরা বিশাল লাভের প্রলোভণ দেখায়। পরে রাজি হলে চক্রের সদস্য ও প্রতারণা মামলার আসামী মঞ্জুল ওরফে মঞ্জু এবং মাহফুজ সরকার তাকে গুলশান-২ এর একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে চক্রের সদস্য দেবাশীষ, ওমর ফারুক ওরফে জাহিদ খান, লাকি বেগম রোকেয়া, আব্দুল হক, ড. এ.কে. খানদের সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় চক্রের সদস্যদের হাতে থাকা কথিত ম্যাগনেটিক কয়েনটি দেখায়।
আজাদ রহমান আরও জানান, হোটেলে বসে চক্রের সদস্যরা মিলে ভুক্তভোগি ব্যবসায়ীকে ম্যাগনেট সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের কথিত তথ্য দেয়। পাশাপাশি ম্যাগনেট কয়েন ব্যবসায়ে প্রচুর লাভের প্রলোভন দেখায়। কথা বার্তার একপর্যায়ে আসামীরা জানান, তিন কোটি টাকা পেলে ম্যাগনেটটি ব্যবসায়িকে দিয়ে দিবেন। তখন তাদের ফাঁদে পা দিয়ে নগদ ত্রিশ লক্ষ টাকা ও দশ লক্ষ টাকার একটি চেক দেন। চক্রের সদস্যরা ম্যাগনেটটি একটি প্যাকেটে করে ব্যবসায়ীর গাড়ীতে তুলে দেয়। কিন্তু বাসায় এসে প্যাকেটটি খুলে দেখে সেখানে কিছু নাই। তখন প্রতারণার বিষয়টি সন্দেহ হলে প্রতারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা আরও আট লাখ টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে এই ঘটনায় গুলশান থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী। এই ঘটনায় তদন্ত শেষে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা সিআইডিকে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কয়েন বিক্রির নামে প্রতারণার করে আসছে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের তথ্যসংগ্রহপূর্বক গ্রেফতারের লক্ষ্যে আসামীদের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানানা সিআইডির এই কর্মকর্তা।