মো: সোলায়মান: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতোই প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশের এই এলিট ফোর্স। মাদক, জঙ্গি সন্ত্রাসীদের নিয়েই আমাদের কাজের অংশ। বছরের সব সময় বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক সন্ত্রাসীদের তালিকা আমরা তৈরি করি। কিশোর অপরাধের সঙ্গে জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের তালিকাও আমরা তৈরি করি। শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর তালিকার পরে আমাদের ম্যান্ডেড অনুযায়ী তালিকা প্রণয় বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমরা যে তালিকা পাই, সে তালিকা ধরে তাদের (সন্ত্রাসীদের) আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সবসময় কাজ করে যাচ্ছে র্যাব।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় আমরা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম ব্যবহার করে বা তাদের যারা অনুসারীরা বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসী হামলা, নাশকতা, চাঁদাবাজির নতুন বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে এদের অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বাকিদেরও আইনের আওতায় আনতে কাজ করা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনেকের জামিনের বের হয়ে আসছেন। তাদেরকেও আমরা নজরদারিতে রাখছি। আমরা দেখছি যে অনেক সন্ত্রাসী আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামিনে বেরিয়ে এসে, পলাতক অবস্থায় রয়েছেন। তাদেরকে শনাক্ত করে, তাদেরকেও নজরদারিতে রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।
নির্বাচনকে সামনে রেখে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, আমাদের ম্যান্ডেটের আলোকে অবৈধ অস্ত্র নিয়মিতভাবে উদ্ধার করে যাচ্ছি। অভিযান পরিচালনা করছি। গত সপ্তাহে বেশ কিছু অবৈধ অস্ত্রের অভিযান চালিয়েছি।
তিনি বলেন, বৈধ অস্ত্র নিয়ম তান্ত্রিক ব্যবহার করার কথা। এই নিয়মের বর খেলাপ যেখানে হচ্ছে, সেখানেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে। কেউ বৈধ অস্ত্র অবৈধভাবে প্রদর্শন করছে এমব তথ্য জানা মাত্র স্থানীয় থানা বা আমাদের কোম্পানি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। বৈধ অস্ত্র জমার বিষয়ে যখন সরকারি নির্দেশনা আসবে, তখন যারা অস্ত্র জমা দেবেন না তাদের বিষয়েও কাজ করবে র্যাব।