মো: সোলায়মান: রাজধানীতে নগর সবুজায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা উওর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম বলেন,ঢাকা শহরের প্রতিটি গাছকে জিপিআরএস অ্যাপের মাধ্যমে আইডি নাম্বার দিয়ে রোপন করে দিয়েছি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও বিভিন্ন বস্তিতে ৫৫০০ টি গাছ লাগানো হয়েছে। গাছকে নাম্বারিং করা ও জিপিআরএস ম্যাপিং এর কাজ শুরু করা হয়েছে ।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেট বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে সবুজায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।
আতিকুল ইসলাম বলেন,গাছ আমাদের কত প্রয়োজনীয় আমরা বুঝিনা। যদি কেউ, কোন হাসপাতালে ভর্তি হই তখন যদি অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, তখন সিলিন্ডার কিনতে হয়। অক্সিজেনের সিলিন্ডার কিনতে ৬-৭ হাজার টাকা লাগে। অক্সিজেন (গাছ) গুলোকে আমরা মেরে ফেলছি। একটি সিটিকে দূষণ মুক্ত করার একমাত্র উৎস হল গাছ লাগানো। এর কোন বিকল্প নাই। গাছ আমাদের অক্সিজেন, ছায়া ও ফল দেয়। এছাড়াও পাখির খাবারের ব্যবস্থা করে দেয় গাছ। যদি কোন গাছ কাটতে হয়, ওই এলাকার মুরুব্বী ও আমাদের সাথে আলোচনা করে গাছ কাটতে হবে।
মেয়র আরো বলেন,এখন পর্যন্ত আমরা যেসব গাছ লাগিয়েছি, আমাদের কাছে প্রতিটি গাছের ম্যাপিং আছে। গাছ কত ইঞ্চি লাগানো হয়েছে,গাছ কিভাবে বড় হচ্ছে ও গাছের পরিচর্যা করা হচ্ছে। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আছে। চ্যালেঞ্জের মধ্যেই কাজগুলোকে পরিচর্যা করা হচ্ছে। আজকে গাছ লাগালে অবশ্যই এর দুই বছর পরে ফল পাওয়া যাবে। আমি নতুন কিছু গাছ লাগাচ্ছি।লস্কর গাছ রোপন করছি। লস্কর গাছের ফল পাখির খুবই প্রিয়। আমরা সবুজ ও পাখির কিচিরমিচির দেখতে চাই।
জানা যায়, নগর সবুজায়ন প্রকল্পের আওতায় শক্তি ফাউন্ডেশন এর বাস্তবায়নে ও বিশ্বের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা মেটলাইফ ফাউন্ডেশন এর যৌথ অর্থায়নে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে থেকে জাহাঙ্গীর গেট এবং বিজয় সরণির মোড় থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১৭ হাজার শোভাবর্ধনশীল গাছ রোপণ করা হয়েছে। ওই সস্তান গুলো গ্রাফিতির মাধ্যমে সাজানো হয়েছে নান্দনিক সাজে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তত্বাবধায়নে এই প্রকল্পের আওতাধীন এলাকা আগামী ১ বছর রক্ষণাবেক্ষণ করবে শক্তি ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড ও চ্যানেল আই’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, শক্তি ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক ইমরান আহমেদ, মেটলাইফ বাংলাদেশ এর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমদ প্রমুখ।