নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বরের পল্লবী থানা সংলগ্ন সড়কগুলোতে প্রতিদিন বসে ভ্রাম্যমাণ বাজার। এজন্য সড়কে চলতে এলাকাবাসীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একইসঙ্গে সড়ক দখল করে বাজার বসার কারণে এলাকাটিতে তৈরি হচ্ছে যানজটও।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ- প্রশাসনের কর্মকর্তারা চাঁদা নিয়ে এখানে বাজার বসতে দিচ্ছেন।সম্প্রতি দেখা যায়, পল্লবীর আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া বায়তুস সালাম মাদ্রাসার পাশের সড়কে প্রতিদিনই বসে ভ্যানভিত্তিক বাজার। পল্লবী থানা সংলগ্ন ‘সি’ ব্লকের ৫, ৬ ও ৭ নম্বর সড়কের জায়গা দখল করে বসছে এ বাজার। এ বাজারে থাকছে ফলমূল, মনিহারি, তৈজসপত্র, শাকসবজি, কাপড়, জুতা ও নারীদের প্রসাধনী পণ্যের দোকান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় লোক বলেন, এই তিন সড়কের দোকানিদের কাছ থেকে চাঁদা তুলেন জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি। সবচেয়ে বেশি দোকান থেকে চাঁদা তুলেন তিনি। চাঁদা পেয়েই তিনি এখানে দোকান বসতে দেন।এ নিয়ে জাহাঙ্গীর বাংলানিউজকে বলেন, আমি এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। আমি তো ইন্টারনেটের ব্যবসা করি। আমি কোনো টাকা তুলি না। অন্যরা টাকা তুলে আমার নাম ব্যবহার করছে। আমার নাম দিচ্ছে। বেসরকারি কর্মকর্তা
জাকির হোসেন বলেন, পল্লবীতে ১০ বছর ধরে থাকি। এ পথ দিয়ে যখন হাঁটি, মনে হয় ফার্মগেট বা গুলিস্তানের মতো ব্যস্ত কোনো সড়ক দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সমস্যা দেখার কী কেউ নেই ? রাত কী আর দিন কী, সড়কে ভিড় জমে থাকে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভ্যানে করে বিভিন্ন পণ্যের দুই বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন ৪০ থেকে ৬০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে বা দিতে না পারলে রাস্তায় দোকানদারি করতে দেন না প্রশাসনের লোকেরা।
চাঁদা সংগ্রহকারী মোশারফ বলেন, ফুটপাতের দোকান থেকে টাকা তুলে প্রশাসনের লোকদের দিতে হয়। প্রতিদিন এক হাজার ৪০০ টাকা করে দিতে হয়। দোকানের আকার বুঝে ৩০, ৪০ ও ৭০ টাকা করে চাঁদা তোলা হয়। রাস্তায় দোকান বসে বলে প্রশাসনের লোককে এই টাকা দিতে হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইনামুল কবির বলেন, আমরা ইঞ্জিনিয়ার ডিভিশনে উন্নয়নমূলক কাজ করি। সড়ক সংস্কার করি। এখানে ভ্যানে গরিব লোকেরা ব্যবসা করে উপকৃত হয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু কেউ যদি সুবিধা ভোগ করে থাকেন, তাহলে অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।