নিজস্ব প্রতিনিধি: দ্বীপ জেলা ভোলা বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা, সম্ভাবনাময় এই জেলার মানুষ যুগের পর যুগ ধরে অবহেলিত থেকেছে শুধুমাত্র অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে। যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নদীপথ। আর সেই নদীপথে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয় ভোলার মানুষকে। প্রতিশ্রুতি এসেছে বারবার, হয়েছে আশ্বাসের বৃষ্টি, কিন্তু বাস্তবায়নের দেখা মেলেনি আজও। তাই এখন একটাই দাবি ভোলা-বরিশাল সেতু দ্রুত বাস্তবায়ন চাই, আর কোন আশ্বাস নয়।
এই সেতু শুধু ভোলাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন নয়, এটি দক্ষিণাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট। সেতুটি হলে ভোলা হবে সড়কপথে সরাসরি সংযুক্ত বরিশালের সাথে, সেখান থেকে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসবে, পর্যটন বিকশিত হবে, বিনিয়োগকারীরা আগ্রহী হবে, তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। অর্থনৈতিক দিক থেকে পুরো দক্ষিণাঞ্চল বদলে যাবে।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে, রাজনৈতিক ভাষণে, নির্বাচনী ইশতেহারে, উন্নয়নের ফিরিস্তিতে বারবার ভোলার নাম এলেও, বাস্তব কাজ শুরু হয়নি আজও। ভোলার মানুষ কেবল অপেক্ষা করেই যাচ্ছে। এই অপেক্ষা আর কতদিন?
প্রতিনিয়ত নদী পার হতে গিয়ে যে ঝুঁকি, সময় ও অর্থ অপচয় হয়, তা আজ এই আধুনিক যুগে দুঃখজনক। একটি সেতু কেবল ইট-পাথরের কাঠামো নয়, এটি যোগাযোগের একটি মাইলফলক, উন্নয়নের সেতুবন্ধন, আর জনগণের আত্মবিশ্বাসের প্রতীক।
ভোলার মানুষ আজ সোচ্চার, ঐক্যবদ্ধ। তারা আর আশ্বাসে বিশ্বাস করে না। তারা চায় কার্যকর পদক্ষেপ। চায় একটি সময় নির্ধারিত পরিকল্পনা।এখনই সময় ভোলা-বরিশাল সেতুর নির্মাণ শুরু করার।
এই দাবির পেছনে রয়েছে লাখো মানুষের স্বপ্ন, আশা, আর অধিকার। তাদের কণ্ঠস্বর যেন ব্যর্থ না হয়, তাদের আকাঙ্ক্ষা যেন না থেমে যায় রাজনৈতিক গেটআপে।
ভোলাবাসীর একটি মাত্র দাবি—
“ভোলা-বরিশাল সেতু চাই, দ্রুত চাই, বাস্তবায়ন চাই—আর কোন আশ্বাস নয়।”