নিজস্ব প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কিছুদিন রাজাধানীর পরিবহন জগতে শান্ত পরিবেশ থাকলেও আবারও বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে পরিবহন জগতের এক সময়ের কিং এনায়েত উল্যাহ খন্দকার গংরা বিভিন্ন বাস কোম্পানী দখলের পায়তারা করছে। এজন্য তারা বিভিন্নভাবে ইনিয়ে-বিনিয়ে একেকজনের উপর ভর করে কুৎসা রটিয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ বসুমতি পরিবহনের বিভিন্ন বাসমালিক ও বর্তমান পরিচালকরাদের।
গত কয়েকদিন মিরপুরের অলিগলিসহ বিভিন্ন বাসে বসুমতি পরিবহনের বর্তমান বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নামে নানান উক্তি লিখে পোষ্টার ছাপিয়ে তাদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে এই চক্র।
সরেজমিনে গত রবিবার ও সোমবার এলাকাঘুরে দেখাযায়, মিরপুরের অলিগলি বিভিন্ন বাসের গায়ে একসময়ে এনায়তে খন্দকারের নামে পরিচালিত বসুমতি পরিবহনের বর্তমান কর্মকর্তা ও পরিচালকদের কয়েকজনের ছবি দিয়ে তাদেরকে আওয়ামীলীগের দোষর ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধকারি নাম দিয়ে এবং ছাত্রআন্দোলনের বিপক্ষে দাড় করাতে এলাকাবাসীর নাম দিয়ে পোষ্টার সাটানো হয়েছে।
পোষ্টারে ছবি দেওয়া সম্পর্কে বসুমতি পরিবহনের বর্তমান পরিচালকদের সদস্য বাস মালিক কামরুল হক দুলাল বলেন, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বসুমতি পরিবহনটি ততকালীন ঢাকা সড়ক পরিবহনের সভাপতি এনায়েত খন্দকার তার একক কর্তৃত্ব বহালে নিজ ভাই মনিরকে এমডি বানিয়ে কোম্পানীটি দখল করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। সাধারণ বাস মালিকরা তাদের কাছে ছিল আসহায়। তারা এরুটে কাউকে কোন পাত্তা না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো বাস পরিচালনা করেছে। ছাত্রজনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পলায়নের পর তারা নিজ প্রাণবাচিয়ে কোনমতে পালিয়ে যায়।
আওয়ামী সরকারের পলায়নের সাথে সাথে তাদের তাদের পলায়নের পর বর্তমানে কোম্পানীটি সাধারন বাসমালিকরা নিজ তাগাদায় বাসমালিকদের কয়েকজনকে নিয়ে কোম্পানীর মূল মালিকদের নিয়ে নিজেরাই পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে এনায়েত গং এর সময়কার ততকালীন কোম্পানীর ম্যানেজার তার কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে আবারও কোম্পানীটি দখলের পায়তারা করছে। এজন্য তারা কয়েকজন বাসমালিকদের ভুয়া স্বাক্ষর নিয়ে আমাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুতসা রাটানো চেষ্টায় আমাদের কয়েকজনের ছবি সম্বলিত পোষ্টার শহরের বিভিন্ন জায়গায় সাটিয়েছে।
এবিষয়ে বসুমতি পরিবহনের পাবলিক রিলেশনের দ্বায়িত্বে থাকা জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা এসব মানহানীকর কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে গতকালই (রবিবার) পল্লবী থানার ওসি সাহেবের সাথে দেখা করে অভিযোগ দিয়েছি। এছাড়া তাদের অভিযোগের দেওয়া বাসমালিকদের স্বাক্ষর যাচাইবাছাই করেছি। যাদের স্বাক্ষর দেওয়া হয়েছে তাদের বেশিরভাগ বাসমালিকরা আবুল হোসেন, নূরুল হুদা, জাকির হোসেন গংদের এহেন অপকর্মের সাথে জড়িত নয়। আমাদের কোম্পানী সহ কোম্পানী সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের মানহানিসহ কোম্পানী দখলের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে।
তাছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের স্থানীর নেতাদের সাথে এবিষয়নিয়েও কথা বলেছি। তারাও বিষয়টি সার্বিক নিরপেক্ষ তদন্তে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগীতার আশ্বাস দিয়াছেন।
এবষেয়ে জানতে এনায়েত খন্দকার গং পরিচয়দানকারী আবুল হোসেন, আবুল হোসেন, নূরুল হুদা, জাকির হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগেযোগের চেষ্টা করা হয়েও তাদের মোবাইল বন্ধ থাকায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।