মো : সোলায়মান : রাজধানী মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের আগুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) বলেন,দেশে সব ধরনের দুর্ঘটনার জন্য আমাদের আল্লাহর ওপর ভরসা করতে হয়। আল্লাহর দয়ায়, আমরা বেঁচে আছি তেমনই মনে হয়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এসব দুর্ঘটনা রোধে যেসব ব্যবস্থা নেয়া দরকার তা নেয়া হয় না।
জিএম কাদের বলেন, দেশের বিভিন্ন আগুনের ঘটনার আগে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে এবং এসব ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। এখানে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদেরকে সরকারের উচিত পুর্ণবাসন করা। তাদেরকে ক্ষতিপুরণ দেয়া। তারা যাতে এখনি ওঠে দাড়াতে পারে তার ব্যবস্থা করা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা দেখছি আগুন লাগলে ফায়ার ব্রিগেট এসে ফায়ারিং করতে পারে না। তারা পানি পাচ্ছে না। তাদেরকে মানুষের বাসা থেকে পানি এনে আগুন নেভাতে হয়। এভাবে একটি নগর গড়ে উঠতে পারে না। এগুলোকে দূর্ঘটনা বলা যায় না, প্রতিনিয়ত আগুন লাগছে। মানুষ মারা যাচ্ছে। রাস্তা ঘাটের কোনো নিরাপত্তা নাই, জল পথের কোনো নিরাপত্তা নাই। অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এই মার্কেটের ব্যবসায়ী ফলের ব্যবসায়ী দোকান ব্যবসায়ী সবাই আজ নিঃস্ব হয়ে গেল। তারা আজ পুঁজি হারিয়েছে। এ ধরনের দূর্ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। আমরা দেখছি আগুন লাগছে নিভিয়ে ফেলা হচ্ছে। ফয়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সার্ভিস আসছে কিন্তু এসব দুর্ঘটনার পর যেন অতি দ্রুত নিভিয়ে ফেলা যায় সেই ব্যবস্থা থাকা উচিত। অতি দ্রুত সেটি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তারও ব্যবস্থা থাকা উচিত।
এদিকে পৌনে ৬ ঘণ্টা পর সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে কৃষি মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার। তিনি জানান, ভোরে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৭ ইউনিট ও ১৩৭ জন কর্মী। আগুন নির্বাপণে এখনো আমাদের টিম কাজ করে যাচ্ছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অগ্নি নির্বাপণী সাহায্যকারী দল। এ ছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণ, উদ্ধার অভিযান ও সার্বিক শৃঙ্খলায় ঘটনাস্থলে কাজ করে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, এনএসআই, স্কাউটের ভলান্টিয়ার সদস্যরা। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে মার্কেটে ওপর থেকে পানি ছিটানো হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার ভোর ৩টা ৪৩ মিনিটে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রথমে একটি ইউনিট এলেও মার্কেট বন্ধ থাকায় সেটির সদস্যরা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। যে কারণে আগুন দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।