বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বার্তা ডেস্ক:
টুইটার ব্যবহারকারীরা ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম এবং মাস্টোডন-এর মতো প্রতিদ্বন্দ্বী কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েবসাইটের সাথে লিংক করতে পারবেন না। রবিবার টুইটার এগুলোকে “নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্ম” হিসেবে অভিহিত করে। কিছু নির্দিষ্ট বক্তব্য আটকাতে টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্কের এটি সর্বশেষ পদক্ষেপ। এর আগে তার ব্যক্তিগত জেটের ফ্লাইট ট্র্যাক করায় গত সপ্তাহে তিনি একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন।
নিষিদ্ধ প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রামের মতো মূলধারার ওয়েবসাইট। এছাড়াও রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী মাস্টোডন, ট্রাইবেল, নস্ট্র, পোস্ট এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যাল। ব্ল্যাকলিস্টে কেন সেই সাতটি ওয়েবসাইটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, পার্লার, টিকটক বা লিংকডিনের মতো অন্যগুলোকে কেন করা হয়নি তা নিয়ে টুইটার কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
গত সপ্তাহে টুইটার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এবং মাস্ককে নিয়ে লেখালেখি করা অনেক সাংবাদিকের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে। এদের মধ্যে নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, সিএনএন, ভয়েস অফ আমেরিকা এবং অন্যান্য গণমাধ্যমের জন্য কাজ করা সাংবাদিকেরা রয়েছেন। মাস্কের একটি অনলাইন ভোটের পরে সেই অ্যাকাউন্টগুলোর অনেকগুলো পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল।
এরপরে সপ্তাহান্তে ওয়াশিংটন পোস্টের টেলর লরেঞ্জ সর্বশেষ সাংবাদিক যাকে সাময়িকভাবে টুইটার থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের নির্বাহী সম্পাদক স্যালি বুজবি রবিবার একটি লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, অন্যায়ভাবে পোস্টের একজন সাংবাদিকে একাউন্টের সাস্পেনশন ইলন মাস্কের এই দাবিকে আরও ক্ষুণ্ণ করে যে তিনি বাকস্বাধীনতার প্রতি নিবেদিত একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে টুইটার চালাতে চান। রবিবার মধ্যাহ্নের মধ্যে লরেঞ্জের একাউন্ট এবং যে টুইটটির জন্য তার সাসপেনশন শুরু হয় বলে ভাবা হচ্ছে, সেটি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।