রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্লেক্স সংলগ্ন জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা নটানপাড়ার ঘটনা এটি। জানা গেছে, এলজিইডির প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল বাস্তবায়নে ৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বরাদ্দে মেসার্স দুর্গা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিাকাদারি প্রতিষ্ঠান গত বছর কাজটি পায়। কাজ পাওয়ার পর অনেকটা তড়িঘড়ি করে সেখানকার গার্ডার ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হয়।
এতে স্থানীয়রা খুশি হন এই ভেবে যে, এই জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় একটি মজবুত ও তুলনামূলক চওড়া ব্রিজ হলে ভালোই হয়। কিন্তু ব্রিজ ভাঙার এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেখানে ব্রিজ হচ্ছে না। তথ্যমতে, ডাইভারেশন ব্রিজের জন্য ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও সেটাও করা হয়নি। ফলে উপজেলার পূর্বাঞ্চলীয় চুলিয়ারচর, কলাবাড়ি, বারবান্দা, নামাবারবান্দা, সাত ইজলামারী, গোয়ালগ্রাম, ফুলবাড়ি, ভুন্দুরচর, সাত ইছাকুড়ি, নটানপাড়াসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের ৪০ হাজার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
এ ছাড়া ওই এলাকায় রয়েছে একটি কলেজ, কয়েকটি হাইস্কুল, ২টি বাজার, ১০টি প্রাইমারি স্কুল, ২টি বিজিবি ক্যাম্প ও ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ি গ্রাম। জানা গেছে, ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক শ্যামল বাবু টেন্ডারে কাজটি পাওয়ার পর রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রবিনের কাছে কাজটি বিক্রি করে দেন। সাব-ঠিকাদার ব্রিজ নির্মাণে নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওয়াদুদ মণ্ডল বলেন, ভালো ব্রিজ ভেঙে একটি কাঠের নড়বড়ে সাকো তৈরি করা হয়েছে। যা দিয়ে কোনো যানবাহন চলে না। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছি আমরা।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার শ্যামল বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বর্তমানে ওই জায়গাটিতে অনেক পানি। পানি শুকিয়ে গেলে কাজ শুরু করা হবে। ডাইভারেশন সড়ক বা ব্রিজ কেন দেয়া হয়নি এমন এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা প্রকৌশলী জুবায়েত হোসেন জানান, কাজ শরু হলে সেটি দেয়া হবে। জনগণের যাতায়াতের জন্য আপাতত একটি কাঠের সাঁকো দেয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দু’একের মধ্যে কাজ শুরু করার। তার আগে কাঠের সাঁকোটি মেরামত করা হবে।