শেষবার্তা ডেস্ক: ছাগলকান্ডে আলোচিত সাদেক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। অভিযানে রামচন্দ্রপুর খাল ভরাট করে গড়ে ওঠা রিকশা গ্যারেজও উচ্ছেদ করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর সিটির অঞ্চল ৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোতাকাব্বীর আহমেদ।
অভিযানের বিষয়ে মোতাকাব্বী বলেন, রামচন্দ্রপুর খালের দুই ধারে যারা অবৈধ দখলদার ছিলো তাদের বিরুদ্ধে অভিযান। খালের জমি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিটি করপোরেশন থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর আগেও এখান থেকে উত্তর সিটির মেয়র ট্রাক স্ট্যান্ড সরিয়েছেন, বহুতল ভবন ভেঙ্গেছেন। এটা আমাদেত নিয়মিত অভিযানের অংশ।
তিনি আরও বলেন, আজকের অভিযানে দেখেছেন রামচন্দ্রপুর খালের তীর দখল করে স্থাপনা করা হয়েছে। সেই স্থাপনা দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়, সবাইকে আইন মেনে ব্যবসা করতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান নয়। আমাদের অভিযান অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে। সাদেক এগ্রোর মালিক মালিককে ঈদের আগেও আমিরা নোটিশ দিয়েছি। অবৈধ স্থাপনা থাকলে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। আমরা ঈদের আগে উচ্ছেদ অভিযান করি নি কারণ এর ফলে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতো। আমরা এমনটা চাই নি বলে উচ্ছেদে যাই নি। সেই নোটিশের কোনো ব্যবস্থা নেন নি।
জমির মালিকের অভিযোগ তিনি কোনো নোটিশ পান নি। তাহলে সাদিক এগ্রো ভাড়াটিয়া হিসেবে নোটিশ কি ভাবে পায়-জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, খালের একটা নীতিমালা আছে। খালের প্রবাহীকার ৩০ ফিটের ভেতরে কোনো স্থাপনা থাকতে পারবে না এই নীতিমালা রয়েছে। জমির মালিক কাগজ দেখিয়েছেন ৪ শতাংশের কিন্তু দখল করেছেন এক বিঘা। আর আমরা উচ্ছেদ করেছি অবৈধ স্থাপনা জমির মালিককে না। খালের ভেতরের যে অংশ আছে সেটা আমরা উচ্ছেদ করেছি।
উত্তর সিটি করপোরেশনের এই কর্মকর্তা বলেন, অভিযানে একজন জমির মালিক এসেছিলো। সাদেক এগ্রোর মালিক বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কেউ আসে নি। আর সাদেক এগ্রোকে গত ১৮ তারিখ নোটিশ করা হয়েছে যেনো খালে বর্জ্য না ফেলে। কিন্তু তারা কোনো সহযোগিতা করেনি। আমরা খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করছি। এরপর আমরা পরবর্তীতে আমরা খাল পরিস্কার অভিযান চালাবো।